চলছে দুর্গাপুরের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকদের আমরণ অনশন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে একজন হাসপাতালে
চাকরিতে পুনর্বহাল সহ বারো দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের সামনে দুর্গাপুরের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৫ শিক্ষকের আমরণ অনশন আজ তৃতীয়দিনে পা রাখল। অনশনরত ৩ জনের ব্লাড সুগার বিপজ্জনক ভাবে কমছে, মূত্রে কিটোন বডি দেখা দিয়েছে। একজনের রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশী হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হল আজ রাতে। অসুস্থ শিক্ষক জানিয়েছেন হাসপাতালেও তিনি অনশন চালাবেন। তাঁর জায়গায় অনশনে বসলেন আরেক জন শিক্ষক।
কলকাতা: চাকরিতে পুনর্বহাল সহ বারো দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের সামনে দুর্গাপুরের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৫ শিক্ষকের আমরণ অনশন আজ তৃতীয়দিনে পা রাখল। অনশনরত ৩ জনের ব্লাড সুগার বিপজ্জনক ভাবে কমছে, মূত্রে কিটোন বডি দেখা দিয়েছে। একজনের রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশী হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হল আজ রাতে। অসুস্থ শিক্ষক জানিয়েছেন হাসপাতালেও তিনি অনশন চালাবেন। তাঁর জায়গায় অনশনে বসলেন আরেক জন শিক্ষক।
এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন বরখাস্ত হওয়া অন্য শিক্ষকরাও। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই দুটি কলেজে শোকজ নোটিশ পাঠানোর পরও তার কোন জবাব দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি মানার লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
আগামি মঙ্গলবার এই বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের ইসি জরুরী বৈঠক ডেকেছেন।
শিক্ষকদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা সংগঠন। পাশে এসেছেন বিভিন্ন গণসংগঠনের কর্মী ও বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
কলেজে ভর্তির জন্য বাসস্ট্যাণ্ড ও রেল স্টেশন থেকে ধরে আনতে হবে ছাত্র ছাত্রী। শিক্ষকদের এমনই নির্দেশ দিয়েছিল দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, নির্দেশ না মানায় এক মাসে ৯২ জন শিক্ষককে ছাঁটাই করা হয়।
যেন তেন প্রকারে বাড়াতে হবে আর্থিক লাভ। তাই শুধু কাগজ, টেলিভিশন বা প্যামফ্লেটে বিজ্ঞাপন দিয়ে থামেনি দুর্গাপুরের বেঙ্গল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং বেঙ্গল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর উইমেন। শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয় ভর্তির জন্য রাস্তা থেকে জোগাড় করে আনতে হবে ছাত্র ছাত্রী।