নিজস প্রতিবেদন : শনিবার গভীর রাতে আগুন লাগল গড়িয়াহাট মোড়ে অবস্থিত একটি বহুতলে। বহুতলটিতে একটি জনপ্রিয় পোশাকের বিপণি প্রতিষ্ঠান সহ বেশকিছু দোকান, রেস্তরাঁ ও আবাসিক ফ্ল্যাট ছিল। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বহুতলের নীচের তলায় থাকা একটি শাড়ির দোকান সহ অসংখ্য ফ্ল্যাট। আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। প্রায় ১০ ঘণ্টার লড়াইয়ে কাবু হয় আগুন। তবে, কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, পরকীয়ায় পথের কাঁটা সরাতেই প্রেমিককে নিয়ে স্বামী রামুয়াকে খুনের ছক


জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১টা নাগাদ আগুন লাগে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আবাসিকদের মধ্যে। চিত্‍কার চেঁচামেচি শুনে যে যে অবস্থায় ছিলেন, প্রাণ হাতে নিয়ে কোনও মতে নীচে নেমে আসেন তাঁরা। মই দিয়ে নামিয়ে আনা হয় বয়স্কদের। হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয় বহুতলটির ৪ তলায়।


আরও পড়ুন, 'ইউনাইটেড ইন্ডিয়া'র প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? ব্রিগেড মঞ্চে ঘোষণা তৃণমূল নেত্রীর


আগুন দেখেই পুলিস এবং দমকলে ফোন করেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসে একে একে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। আনা হয় স্কাইম্যান ল্যাডার। রাতভর চলে আগুনের সঙ্গে লড়াই। সকালে গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার থেকেও জল স্প্রে করা হয়। আনা হয় অত্যাধুনিক থার্মাল ক্যামেরা। শেষপর্যন্ত দমকলের ১৯টি ইঞ্জিন ও একটা স্কাইম্যান ল্যাডারের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট হয়েই আগুন লাগে বহুতলে। তবে সংগৃহীত নমুনার ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরই আগুন লাগার আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন, সিপিএম-এর শেষকালেও এর চেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল ব্রিগেডে


এদিকে, আগুন লাগার ঘটায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বাড়িটি বিপজ্জনক জেনেও কেন পুরসভা ব্যবস্থা নেয়নি? প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর। অন্যদিকে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ভবিষ্য়তে এমন ঘটনা এড়াতে আরও সতর্ক হতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রাও।