তিক্ততার চরমে শরিকি সম্পর্ক, প্রকাশ্য জনসভায় বাগযুদ্ধে কংগ্রেস-তৃণমূল
রাজ্য চালানোর যোগ্যতা তৃণমূল কংগ্রেসের নেই বলে প্রকাশ্য জনসভায় মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রদীপ ভট্টাচার্যের এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, চাইলে মন্ত্রিসভা ছাড়তে পারে কংগ্রেস।
রাজ্য চালানোর যোগ্যতা তৃণমূল কংগ্রেসের নেই বলে প্রকাশ্য জনসভায় মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রদীপ ভট্টাচার্যের এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, চাইলে মন্ত্রিসভা ছাড়তে পারে কংগ্রেস।
মাত্র এক বছর আগেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজ্যে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দুই দলের সংঘাত পৌঁছেছে চরমে। তৃণমূলের সরকারের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র কটাক্ষই নয়, সরকার চালাতে তৃণমূলের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাও প্রকাশ্য সমাবেশে।
প্রদীপ ভট্টাচার্যের এই মন্তব্য শুনে, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগা শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেসও। তৃণমূলের অভিযোগ, দ্বিচারিতার রাজনীতি করছে কংগ্রেস। শনিবার হাওড়ায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে কংগ্রেস চাইলেই বেরিয়ে যেতে পারে। কেউ তাদের আটকে রাখেনি। তবে মন্ত্রিসভার ভিতরে থেকে বিরোধীতা করা চলবে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নাম না করে তিনি বলেন, মন্ত্রী হতে না পেরেই হতাশা থেকে এই সমস্ত কথা বলছেন কিছু নেতা।
বেশ কিছুদিন ধরেই দুই শরিকের সম্পর্ক ছিল যথেষ্টই তিক্ত। একে অপরকে কটাক্ষ চলছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সোনিয়া গান্ধী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধ তৈরি হতেই, সেই সম্পর্ক এখন সংঘাতের চেহারা নিয়েছে। বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন দুই দলের শীর্ষ নেতারাই। কংগ্রেস যখন সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে হাইকমান্ডের দ্বারস্থ, পাল্টা তৃণমূলের কটাক্ষ সরকার যখন এতোই খারাপ, তাহলে মন্ত্রীর গদি আঁকড়ে রাখা কেন? রাজনৈতিক মহলে এখন জোর জল্পনা, আগে ইউপিএ ছাড়বেন তৃণমূল কংগ্রেস নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসবে কংগ্রেস?