গোয়ার রাজনীতিতে তৃণমূল শুধুমাত্র দর্শক, দাবি Dilip Ghosh-র
টিএমসি ট্যাবলোর তুলনায় জলঘোলা করতে বেশি আগ্রহী বলেও দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার সকালের বিমানে দিল্লি গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, দিল্লিতে প্রিভিলেজ কমিটির মিটিং আছে, সেই কারণেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাকে সমর্থন জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন যে এসব নিয়ে বলার কিছুই নেই। কে নেত্রী, কে নেতা। কার নেতা কে। এই বিষয়ে বিজেপির কিছুই বলার নেই। তিনি আরও বলেন ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়না এবং মাথায় একদম ঘা হয়ে গিয়েছে। দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূলের সর্বোচ্চ স্তরের নেতারা নিজেদের মধ্যে যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন তাতে ড্যামেজ কন্ট্রোল হয় না কিন্তু দলটির মধ্যে যে কোনও ডিসিপ্লিন নেই তা এর থেকে বোঝা যায়।
আরও পড়ুন: 'ফেস-লুকের গ্ল্যামার নষ্ট হয়ে যাবে'! ফেসবুক ছাড়লেন Madan Mitra
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামিদিনে আবার গোয়া যাবেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন যে গোয়ার এখন সিজন। এই সময়ে বহু মানুষ সেখানে বেড়াতে যান। কিছুদিন আগেই আভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখান থেকে ঘুরে এলেন কিন্তু তাতে কি পরিবর্তন হয়েছে তা বোঝা যায়নি। ত্রিপুরাতে কোনও আশা নেই তাই ধারনা যদি গোয়া দিয়ে কিছু হয়। গোয়াতে আঁতাত হচ্ছে না তাতে টিএমসির কিছু যায় আসেনা কারণ গোয়ার রাজনীতিতে তৃণমূল শুধুমাত্র দর্শক।
প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যের ট্যাবলো বিতর্ক নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দুজন সিনিয়র মন্ত্রী পরিস্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে সকলেই জানে যে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে ৬০-৭০টি ট্যাবল গিয়েছে সেখানে ২৩টি সিলেক্ট হয়েছে। ২৯টি রাজ্য পাঠিয়েছিল সেখানে ১২টি সিলেক্ট হয়েছে। সেই কারণে কোনও বিশেষ রাজ্য বা বিরোধী বলে আলাদা করা হয়েছে এমন নয়। সিলেকশনের নির্দিষ্ট নীত-পদ্ধতি আছে সেভাবেই হয় প্রত্যেক বছর। টিএমসি ট্যাবলোর তুলনায় জলঘোলা করতে বেশি আগ্রহী বলেও দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ।