বিজেপি কর্মীর বুকে TMC ছ্যাঁকার অভিযোগের সত্যতা প্রশ্নের মুখে
বিজেপি কর্মীর বুকে সিগারেটের ছ্যাঁকায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অত্যাচারের অভিযোগ তুলছে বিজেপি। তৃণমূল বলছে অভিনয়। কে ঠিক বোঝা দায়। কিন্তু, অভিযোগকারীর স্ত্রীর বয়ানেই প্রশ্নের মুখে অভিযোগের সত্যতা। প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে অতীতবৃত্তান্তও।
ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি কর্মীর বুকে সিগারেটের ছ্যাঁকায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অত্যাচারের অভিযোগ তুলছে বিজেপি। তৃণমূল বলছে অভিনয়। কে ঠিক বোঝা দায়। কিন্তু, অভিযোগকারীর স্ত্রীর বয়ানেই প্রশ্নের মুখে অভিযোগের সত্যতা। প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে অতীতবৃত্তান্তও।
সিগারেটের ছ্যাঁকায় বুকে লেখা TMC। পোড়াদাগের সুবাদে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেছেন হুগলির বিজেপি কর্মী বিষ্ণু চৌধুরী। কিন্তু, তাঁর নিজের অতীত কী বলছে?
২০০৮ সালে বিষ্ণু চৌধুরী ছিলেন সিপিআইএম সমর্থক। তখন তাঁকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করে মগরা থানার পুলিস।
২০০৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন বিষ্ণু। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে দেখা করার দাবিপ্রকাশ করেন। নাহলে মোবাইল টাওয়ার থেকে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন।
২০১১ সালে ১৫ অগাস্ট শরীরের ৭০টি সূঁচ বিধিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিষ্ণু। ইমামবাড়া হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়।
২০১১ সালে ব্যান্ডেল স্টেশনে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে GRP-র হাতে গ্রেফতার হন।
২০১৪ সালে এক মহিলাকে জোর করে মদ খাইয়ে অপহরণের অভিযোগে হাজতবাস করেন বিষ্ণু।
নিজের আরও কয়েকটি কীর্তির কথা শুনিয়েছেন বিষ্ণু নিজেই।
তাই তার এবারের অভিযোগ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে তাঁরই স্ত্রীর বয়ান।
সন্দেহের কারণ আরও রয়েছে। বিষ্ণুর দাবি, ৩ নভেম্বর তাঁকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, মগরা থানায় অভিযোগ লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে শনিবার গভীর রাতে। সংবাদমাধ্যমে এই খবর সম্প্রচারের পরে। দেরির সপক্ষে কোনও যুক্তি পেশ করেননি মগরা হাসপাতালে ভর্তি এই বিজেপি কর্মী।