গ্রামের মনের কথা শুনতে গিয়ে কী হবে? আশঙ্কার দোলাচলে তৃণমূল বিধায়করা

প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশে তৃণমূলের সব বিধায়ককে যেতে হবে গ্রামে। 

Updated By: Jul 30, 2019, 11:58 PM IST
গ্রামের মনের কথা শুনতে গিয়ে কী হবে? আশঙ্কার দোলাচলে তৃণমূল বিধায়করা

নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ও দাদা ওরা বারবার ফোন করছে। কবে যাব একঘণ্টায় জানাতে হবে।' জেলার নেতাকে ফোনে জানতে চাইলেন তৃণমূল বিধায়ক। ওপ্রান্ত থেকে নির্দেশ, সময় ঠিক করে বলে দে। 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে এখন তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে দৌড়াদৌড়ি।      

প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশে তৃণমূলের সব বিধায়ককে যেতে হবে গ্রামে। সেখানে গিয়ে কথা বলতে মানুষের সঙ্গে। শুনতে হবে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা। আর দলের এমন নির্দেশের পর রীতিমতো ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়করা। কর্মসূচি সফল করতেই হবে, কারণ নজর রাখছেন প্রশান্ত কিশোর। ব্যর্থ হলেই ২০২১ সালে টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কা তো থাকছেই। ফলে চেয়ার ধরে রাখতে ছুটতে হবে মানুষের মাঝে। 

কিন্তু গোটা কর্মসূচি নিয়ে দ্যোতানায় ভুগছেন তৃণমূল বিধায়কদের একাংশ। কারণ এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি। তার উপরে লোকসভা ভোটের পর উজ্জীবিত গেরুয়া শিবির। বিধায়কদের ব্যতিব্যস্ত করতে তাদের পরিকল্পনাও সারা। গ্রামে ঢোকার পথে তাই রয়েছে বিক্ষোভের আশঙ্কা। বিষয়টি ভাবাচ্ছে বিধায়কদের একাংশকে। ইতিমধ্যেই নিচুতলার নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে পরিকল্পনা করতে শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। দলনেত্রী 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি ঘোষণা করে দাবি করেছিলেন, নব কলেবরে সুসজ্জিত হচ্ছে তৃণমূল। সে জন্য আরও বেশি তটস্থ তৃণমূল বিধায়করা। এতদিন শুধু দলের শীর্ষ নেতৃত্বেরই নজর থাকত, এবার প্রশান্ত কিশোরের মতো ভোটগুরুও রয়েছেন আড়ালে। সব মিলিয়ে নয়া চ্যালেঞ্জের আগে তৃণমূলের অন্দরমহল এখন সরগরম। 

আরও পড়ুন- প্রথম দিনেই হোঁচট খেল 'দিদিকে বলো', উঠছে বিল, কিন্তু বলা যাচ্ছে না কথা                 

 

.