Jawhar Sircar: সংঘাত প্রকাশ্যে, তৃণমূলের রাজ্যসভা-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল জহর সরকারকে
দল যে জহর সরকারের মন্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি তা বুঝিয়ে দিতেই ওই পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর ফলে জহর সরকারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব আরও খানিকটা বেড়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে
প্রবীর চক্রবর্তী: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল জহর সরকারকে। এসএসসি দুর্নীতিতে জড়িয়ে জেলে ঠাঁই হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অনুব্রতর মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করার পর তাঁর বর্তমান ঠিকানা আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে। এরকম এক পরিস্থিতিতে প্রবল চাপে দল। তার মধ্যে দিনকয়েক আগেই দলের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করেন জহর সরকার। সেই মন্তব্য়ের জেরে দলে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তার পর থেকেই জহর সরকারের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে থাকে। শনিবার কড়া পদক্ষেপ নিল দল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপের মাধ্যমে রাজ্যসভার সাংসদের মধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়। সেই গ্রুপ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জহর সরকারকে। প্রসঙ্গত, ওই গ্রুপের দায়িত্বে রয়েছেন ডেরেক ওব্রায়েন।
আরও পড়ুন-বাড়ি থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, তৃণমূল পুরপ্রধানের ৫ দিন সিবিআই হেফাজত
দল যে জহর সরকারের মন্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি তা বুঝিয়ে দিতেই ওই পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর ফলে জহর সরকারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব আরও খানিকটা বেড়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রকাশ্য়ে দলের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জন্য জহর সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দল যে তাঁর উপরে অসন্তুষ্ট তা দলের এক সাংসদ জহরকে জানিয়ে দেন। এমনকি তাঁকে সরে যাওয়ার কথাও বলা হয় বলে খবর। তারপরেই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে জহরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূলের তরফে জানান হয় পুরনো গ্রুপ ডিলিট করার জন্যই জহর সরকারকে সরানো হয়েছে। তত্পরতার সঙ্গে তৈরি হয়ে যায় নতুন হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপ। দলের একটি মহলের দাবি, দল চাইছে একটা সম্মানজনক বিচ্ছেদ।
উল্লেখ্য, দলের একের পর এক নেতা যখন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হচ্ছেন তখন প্রকাশ্যে জহর বলেন, টিভিতে দেখে বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরিয়ে আসতে পারে তা ভাবতেই পারিনি। এরকম দৃশ্য খুবই কম দেখা যায়। লোকে এনিয়ে মন্তব্য করবেই। লোকের মুখ তো বন্ধ করা যায় না। ওসব দেখে বাড়ির লোকের বলল তুমি রাজনীতিই ছেড়ে দাও। এই পচন ধরা শরীর নিয়ে ২০২৪ সালের ভোটে লড়াই করা মুশকিল।