নিজস্ব প্রতিবেদন: উনিশের লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হওয়ায়, একুশের রণকৌশল তৈরিতে আইপ্যাক (I-PAC)-এর সঙ্গে চুক্তি করেছিল তৃণমূল। সেই চুক্তি নিয়ে প্রথমে নানা প্রশ্ন উঠলেও, বিধানসভা ভোটের ফলাফলই বলে দিচ্ছে, সেদিনের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল। এবার টার্গেট ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। সেই কাঙ্খীত লক্ষ্য পূরণে ফের তৃণমূলের সহায় আইপ্যাক (I-PAC)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২৪ পর্যন্ত রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এই সংস্থার সঙ্গেই চুক্তি করেছে রাজ্যের শাসকদল। আইপ্যাক (I-PAC)-এর ছকে দেওয়া রণকৌশলেই দিল্লি দখলের উদ্দেশ্যে ঝাঁপাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা, মুকুর রায়রা। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে নিজেদের জমি শক্ত করেছে বিজেপি। ১৮ আসন জয় করে কার্যত শাসকদলের কাঁধের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছিলেন দিলীপ ঘোষরা। সেই ফলাফল দেখে উৎসাহিত হয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন মোদী-শাহরা। ডবল ইঞ্জিন সরকারের ধ্বজা উড়িয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন দিল্লির বিজেপি নেতারা।    


আরও পড়ুন: 'এক দেশ এক রেশন' নিয়ে কোনও সমস্যা নেই, জানিয়ে দিলেন Mamata


আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন, শুভেন্দুকে আইনি নোটিস গরু পাচারে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রর


একই সঙ্গে উনিশের শোচনীয় ফলাফলের পরই আইপ্যাক (I-PAC)-এর সঙ্গে চুক্তি করে তৃণমূল। শুরু হয় 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভাব, অভিযোগের কথা সরাসরি পৌঁছে যায় দল ও প্রশাসনের শীর্ষস্তরে। এরপর কখনও 'দুয়ারে সরকার', কখনও 'পাড়ায় পাড়ায় সমাধান'। একের পর এক মাস্টারস্ট্রোক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। 'বাংলার গর্ব মমতা' থেকে 'বাংলা নিজের মেয়েকে চায়'- আইপ্যাক (I-PAC) নির্ধারিত একের পর এক রণকৌশলে কার্যত মানুষের ঘরের মেয়ে হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফল মেলে ইভিএমে। ২১৩ আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল।


সামনে ২০২৪-এর লড়াই। এবার তৃণমূলের লক্ষ্য ভিন রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধি এবং দিল্লি দখল। সেই উদ্দেশ্য সফল করতেই ফের একবার আইপ্যাক (I-PAC)-এর সঙ্গে চুক্তি রাজ্যের শাসকদলের।