নিজস্ব প্রতিবেদন:   টালিগঞ্জ থানায় ঢুকে তাণ্ডবের ঘটনায় রাতেই আরও দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতদের নাম আকাশ বোস ও রণজয় হালদার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গিয়েছে, আকাশই ঘটনার দিন পুলিসকে মারধর করেছিল। কনস্টেবলের ওপর পিছন থেকে হামলা করেছিল সে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, ঘটনার দিন এক পুলিস কর্মীর গলা হাত দিয়ে পিছন থেকে পেঁচিয়ে ধরে সে। এরপর পীঠে পরপর বেশ কয়েকটি কিল মারতে থাকে। ঘটনার দিন আকাশী রঙের শার্ট পড়েছিল আকাশ।  


টালিগঞ্জ থানা হামলার 'নায়িকা' মেটেলিবাগানের ত্রাস পুতুল গ্রেফতার


তদন্তে জানা গিয়েছে, এলাকায় আকাশের ভালো প্রভাব ছিল। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধৃত পুতুল নস্করের ভাইপো আকাশ। পুতুল নস্করের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদ এলাকায় বেশ ‘নামডাক’ করেছিল সে। কারোর বাড়িতে ঝামেলা মেটাতে, পাড়ায় পাড়ায় ঝগড়া, কারোর হয়ে কাউকে শাসানো-এসবের জন্য আকাশের ডাক পড়ত সর্বত্রই। এসব করতে করতেই নিজেকে বেশ কেউকেটা মনে করতে শুরু করেছিল সে।


নিয়ম মানেননি, টালিগঞ্জকাণ্ডে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন ওসি


সেদিন ঘটনার খবর পেতেই তড়িঘড়ি দলবল পাকিয়ে টালিগঞ্জ থানায় হাজির হয় সে। এরপর থানায় ঢুকে পুলিসকে শাসানোর পাশাপাশি মারধরও করে।



ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।কর্তব্যরত ওসির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।


ঘটনায় ওসি অনুপ ঘোষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়ল লালবাজারে। ওই রাতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মানা হয়নি বলে উল্লেখ করে লালবাজারে রিপোর্ট দিয়েছেন ডিসি সাউথ মিরাজ। রিপোর্টে কেন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পুলিসের এত সময় লাগল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে? কেন ঘটনাটি লালবাজারকে তৎক্ষণাৎ জানানো হয়নি তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রিপোর্টে।