৮ দিনে ১০ বার ফিরিয়েছে ৫ নামী হাসপাতাল, কাটা পা নিয়ে আরজি করে খোলা আকাশের নীচে কাতরাচ্ছেন দিনমজুর
এরকম টানা হয়রানির মধ্যেই ২৪ ডিসেম্বর দিদিকে বলো-তো ফোন করে জয়ন্তর ঠাঁই হয় আরজি কর হাসপাতালে
নিজস্ব প্রতিবেদন: আট দিন পার। একের পর এক ফিরিয়েছে কলকাতার ৪ নামি মেডিক্যাল কলেজ। কাটা পা নিয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের সামনে পচনধরা পা নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন পেশায় দিন মজুর জয়ন্ত রাজবংশী।
পেশায় দিনমজুর জয়ন্তর দেখভাল করেছেন তাঁর পরিচিতি হুমায়ুন কবির। জানালেন, অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে আর টাকা নেই। দিদিকে বলো-তে ফোন করেও ঠাঁই হল রাস্তায়! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এর বিহিত চাই।
আরও পড়ুন-NPR হল NRC-র প্রথম ধাপ, দেশকে ভুল বোঝাচ্ছেন অমিত শাহ: ওয়েসি
গত ১৮ ডিসেম্বর ডানকুনিতে মালগাড়ির ধাক্কায় পা কাটায় য়ায় বীরভূমের বাসিন্দা জয়ন্ত রাজবংশীর। তার পর থেকে তাঁকে নিয়ে হুমায়ুন ছুটছিলেন উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। সেখানে থেকে পাঠানো হয় পিজির ট্রমা কেয়ার ইউনিট। সেখানে বেড না পেয়ে রাত আড়াইটায় আর জি কর মেডিক্যালে। একধাকি পরীক্ষা হয়।
উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফের পাঠানো হয় মেডিক্যাল কলেজে। পাঠানো হয় এমারজেন্সিতে। ১৯ তারিখে ভর্তির পর ২৩ তারিখে পাঠানো হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। ভর্তি করা হয় এমারজেন্সিতে। রাত ৮টায় অপারেশন হওয়ার কথা। একটি মেশিন খারাপ থাকায় তার ১১টায় তাঁকে পাঠানো হয় এসএসকেএমে।
আরও পড়ুন-বড়দিনে যাত্রীদের উপহার মেট্রো কর্তৃপক্ষের, বাড়ল মেট্রোর সংখ্যা
এরকম টানা হয়রানির মধ্যেই ২৪ ডিসেম্বর দিদিকে বলো-তো ফোন করে জয়ন্তর ঠাঁই হয় আরজি কর হাসপাতালে। বিকেল ৪টেয় ভর্তি নেওয়া হয় ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। কিন্তু ডাক্তাররা জানিয়ে দেন শুক্রবার আউটডোরে দেখিয়ে ভর্তি নিয়ে অস্ত্রপচার করা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শহর যখন বড়দিন পালন করার প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত তখন পুলিস ডেকে জয়ন্তকে বের করে দেওয়া হল রাস্তায়। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। পচা, দুর্গন্ধ বের হচ্ছে পা থেকে, এখন খোলা আকাশের নীচে কাতরাচ্ছেন জয়ন্ত।