TMC: 'দলবিরোধী' কাজে কড়া পদক্ষেপ, বহিষ্কৃত তৃণমূলের শিক্ষাসেলের দুই শীর্ষ নেতা!
TMC: বহিষ্কৃতরা হলেন মণিশঙ্কর মণ্ডল ও প্রীতম হালদার। তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ সভাপতি পদে ছিলেন মণিশংকর। প্রীতম ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একজন দলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ সভাপতি, আর একজন মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শিক্ষাসেলের দুই শীর্ষ নেতাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল(TMC)।
আরও পড়ুন: Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মেসে পড়ে দেহ...
বহিষ্কৃতরা হলেন মণিশঙ্কর মণ্ডল ও প্রীতম হালদার। তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ সভাপতি পদে ছিলেন মণিশংকর। প্রীতম ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি। আজ, শুক্রবার এক বিবৃতিতে দলের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কারে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন শিক্ষাসেলে সভাপপতি, রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য় বসু(Bratya Basu)।
লোকসভা ভোটের বিপুল জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Abhishek Banerjee) 'গেম চেঞ্জার দাদা' হিসেবে পোস্ট দিয়েছিলেন মণিশংকর। এরপর আরজি কর কাণ্ডে যখন উত্তাল রাজ্য, তখন রাজ্য়সভায় সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন জহর সরকার। ফেসবুকে পোস্ট সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা লেখেন, 'জহরের বার্তা নিতে হবে সতর্কতা। অভিষেকদাকে দরকার গড়তে বলিষ্ঠ সরকার'।
সেই মণিশংকরকে কেন দল থেকে বহিষ্কার? তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দলবিরোধী কাজের অভিযোগ ছিল। সেই তালিকা ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি প্রীতমও।
এদিকে মণিশংকের পাল্টা দাবি, 'গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের যে বিপুল জয়, তার ঠিক পূর্ববর্তী মুহূর্তে ভারতীয় জনতা পার্টি যেভাবে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে নাটকীয়ভাবে নারী নির্যাতনের বিষয় আনার চেষ্টা করেছিল, সেখানে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রথম প্রকৃত সত্যটাকে সামনে নিয়ে এসে বিজেপির চক্রান্তের মুখোশ খুলে দিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটের পর অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হয়ে গেম চেঞ্জার দাদা অ্যাখ্যা দিয়ে গোটা কলকাতার ব্যানার লাগিয়েছিলাম। এই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ফোনে হুমকি দেন। আরজি কাণ্ডে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে মাথায় নিয়ে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বকে সমর্থন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলিষ্টভাবে সংযোগ করার কথা বলি। আবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আমাকে হুমকি দেন'।
মণিশংকরের সাফ কথা, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে বলা থেকে কোথাও বিরত হইনি। তিনি আমাদের জননেতা, তিনি আইকন। দলের সাধারণ সম্পাদক। আমি মনে করি, দলের সাধারণ সম্পাদকের হয়ে বলা দল বিরোধিতা নয়। যে ব্যক্তি নিজের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার তাগিদে এটাকে দল বিরোধিতা অ্যাখ্যা দিয়ে আমাকে দল থেকে বহিষষ্কার করছেন, আমি নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পক্ষে বলেছি, আগামীদিনেও বলব'।
আরও পড়ুন: Tapsia Fire: কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুড়ে ছাই সংসার! হাহাকার তপসিয়ারবাসীর...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)