দিদির মৃতদেহের সঙ্গে ৬ মাস বসবাস ভাইয়ের, গৃহকর্তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সামনে এল ঘটনা
বিস্ময়কর এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনা খাস কলকাতার বুকে। দিদির দেহের সঙ্গে প্রায় সাত মাস বসবাস করছিল ভাই। গতকাল রাতে সামনে এলো সে ঘটনা। তাও আগুনে পুড়ে গৃহকর্তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর। শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার রবিনসন স্ট্রিটের বাসিন্দা দে পরিবার। পরিবারের ছেলে পার্থ দে'কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, গত অগস্ট মাসে বাড়ির প্রিয় পোষ্য কুকুরটির মৃত্যু হয়। কুকুরটির আর সত্কার করা হয়নি। প্রিয় পোষ্যের মৃত্যুর পর খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয় অরবিন্দ দে'র একমাত্র মেয়ে দেবযানী।
ওয়েব ডেস্ক: বিস্ময়কর এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনা খাস কলকাতার বুকে। দিদির দেহের সঙ্গে প্রায় সাত মাস বসবাস করছিল ভাই। গতকাল রাতে সামনে এলো সে ঘটনা। তাও আগুনে পুড়ে গৃহকর্তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর। শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার রবিনসন স্ট্রিটের বাসিন্দা দে পরিবার। পরিবারের ছেলে পার্থ দে'কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, গত অগস্ট মাসে বাড়ির প্রিয় পোষ্য কুকুরটির মৃত্যু হয়। কুকুরটির আর সত্কার করা হয়নি। প্রিয় পোষ্যের মৃত্যুর পর খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয় অরবিন্দ দে'র একমাত্র মেয়ে দেবযানী।
অনাহারে ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় দেবযানীর। দেবযানীর দেহ বিছানায় শুইয়ে দেয় পার্থ। দিদির পাশেই শুইয়ে রাখে প্রিয় পোষ্যের কঙ্কালও। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ভাই বেসরকারি সংস্থায় চাকরি ছেড়ে দেয়। প্রতিদিনই মৃতদেহকে খাবার দিতেন তিনি। কয়েক মাসে দিদির দেহ পরিণত হয় কঙ্কালে। এসব দেখে সহ্য করতে পারেননি পার্থর বাবা অরবিন্দ দে।
অভিযোগ, গতকাল রাতে গায়ে আগুন দেয় সে। তখন বাড়িতেই ছিলেন পার্থ। তিনি তখন বিভিন্ন ঘরের সামনে মিউজিক সিস্টেম চালিয়ে দিয়েছিলেন। ঘরের মধ্যে পায়চারি করছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকল। উদ্ধার করেন অরবিন্দ দে'র দেহ। আর সামনে আসে মর্মান্তিক এই ঘটনা। এই ঘটনা ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মনে করিয়ে দিচ্ছে হিচককের বিখ্যাত গল্প সাইকো। ঘটনা সামনে আসার পর তাজ্জব প্রতিবেশী থেকে দে পরিবারের আত্মীয়রা।