ওয়েব ডেস্ক: সারা দেশের অচলাবস্থায় কলকাতার নাগরিকদের ত্রাতা হয়ে উঠেছে 'কলকাতা পুরসভা'। ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, রেল, হাসপাতাল, পেট্রোল পাম্প, ইলেকট্রিক বিল, বিমান পরিষেবা বাদ দিয়ে পুরনো নোট সরাকরি ভাবে অবৈধ সারা দেশেই। জমানো টাকা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে আম জনতা। আর এই সমস্যা সমাধানেই একেবারে ত্রাতা হয়ে উঠেছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। বকেয়া কর জমা দেওয়া হচ্ছে পুরানো ৫০০ ও হাজারের নোটেই। রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। সোমবার যখন গোটা দেশে ব্যাঙ্ক বন্ধ (গুরু নানক পূর্ণিমা উপলক্ষে ছুটি), তখন বকেয়া কর নিতে খোলা কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। সরকারের এই সিদ্ধান্তেই খুশি আম জনতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



"ট্যাক্সটাও ক্লিয়ার হয়ে যাচ্ছে, আর পুরনো অচল নোটটাও চলে গেল। এটায় খুবই ভালো হয়েছে", বকেয়া কর জমা দিতে এসে এমনটাই জানাচ্ছে কলকাতার নাগরিকরা। আরও পড়ুন- অপেক্ষার শেষ বাজারে চলে এল পাঁচশ টাকার নতুন নোট


 


কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, "মানুষের সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা। ক্যাশে আম জনতা কর দিতে পারবে ২৫ হাজার টাকা"। পুরনো নোট বাতিলের কড়া নিন্দা করে মেয়র জানিয়েছেন, "আমার লেবার পেমেন্ট করতে অসুবিধা হয়েছে। ১০০ দিনের লোকেদের কাজের টাকা দিতে অসুবিধা হচ্ছে"আরও পড়ুন- নতুন ২০০০ টাকার নোটের শক্তি পরীক্ষা


 


রবিবার কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে কর আদায় হয়েছে ৪ কোটি টাকা। কর বাবদ কলকাতা কর্পোরেশনের পাওনার পরিমাণ প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা। এখন প্রশ্ন যারা কর দিতে এসেছেন তাঁদের অধিকাংশেরি বকেয়া সম্পত্তি করের পরিমাণ বার্ষিক এক লাখ টাকা। আম মধ্যবিত্তের কী বছরে এত পরিমাণ টাকা কর হয়, প্রশ্ন এটাও! তাই আশঙ্কা, পুরসভার এই পুরনো নোটে কর দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকেই কালো টাকা সাদা করে নিচ্ছেন।