নিজস্ব প্রতিবেদন: কসবায় ভুয়ো আইএএস অফিসারের টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করল পুলিস ও গোয়েন্দা বিভাগ। খোদ রাজ্য সরকার যেখানে ভ্যাকসিনের অভাবের কথা বলছে সেখানে প্রতারক দেবাঞ্জন দেব ভ্যাকসিন পেল কীভাবে। পাশাপাশি, আদৌ কি ওইসব ভ্য়াকসিন আসল? নাকি ভ্যাকসিনের পরিবর্তে ভায়ালে ছিল অন্যকিছু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ১২ বছর পর্যন্ত শিশুর মায়েদের টিকায় অগ্রাধিকার: Mamata 


তদন্ত নেমে ভ্যাকসিন(Covid Vaccine) ক্যাম্পে দেওয়া টিকার ভায়াল সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করতে পাঠাল পুলিস। ওইসব ভায়াল পাঠানো হচ্ছে ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে। জানার চেষ্টা হচ্ছে, ওইসব ভায়ালে আসলে করোনার টিকা ছিল নাকি অন্যকিছু। ক্যাম্প থেকে কিছু খালি ভায়াল ও বেশকিছু ব্যবহার না হওয়া ভায়াল উদ্ধার হয়েছে। সেগুলিই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা বিষয়টাই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকাদের দেখছে কলকাতা পুলিস। 


এদিকে, আশঙ্কার কারণ হল, ক্যাম্প থেকে যেসব টিকা উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে কিছু ভায়ালে টিকা উত্পাদনের তারিখ ও তার এক্সপায়ারি ডেট মেলেনি। ফলে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। গোয়েন্দা জানাতে চাইছেন কীভাবে ওইসব ভায়াল কেনা হয়েছিল, কোথা থেকেই বা এই ভ্যাকসিন পাওয়া গিয়েছিল। যেসব টিকা উদ্ধার হয়েছে তার ব্যাচ নম্বর ধরে পরীক্ষা করলেই খানিকটা পরিস্কার হবে ওগুলি আসল টিকা কিনা।


আরও পড়ুন- মঙ্গলবারের থেকে রাজ্যে সামান্য বাড়াল কোভিড সংক্রমণ 


উল্লেখ্য, কসবায় একটি করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্যাম্পের আয়োজন করেন দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি। এলাকায় নিজেকে আইএএস অফিসার বলেই পরিচয় দিতেন। ঘুরতেন নীলবাতির গাড়িতে। ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মোবাইলে মেসেজ বা সার্টিফিকেট না আসায় সন্দেহ হয় মিমির। তিনি জানান পুলিসে। জানা যায় ওইরকম কোনও ভ্যাকসিন ক্যাম্পের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুরসভা। তখনই আটক করা হয় আইএএস হিসেবে পরিচয়দানকারী দেবাঞ্জন দেব নামে ওই ব্যক্তিকে।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)