কালো মেঘের অভিমানি কান্নায় বানভাসি তিলোত্তমা, নিকাশির উন্নতি আকাশ-কুসুম কল্পনাই
একে তো রাত গড়িয়ে সকাল, বৃষ্টি থামার নাম নেই। তার ওপর সাতসকালেই ভরা জোয়ার। খোলা যায়নি নিকাশির লকগেট।জমা জল বেরনোরই পথ পায়নি। সেই জোয়ার -যন্ত্রণার জেরেই বৃষ্টি কমলেও দিনভরই জলবন্দি কলকাতা।শুক্রবার সকাল থেকেই শহর যেন বানভাসি। জলমগ্ন গলি থেকে রাজপথ। এপাড়া ওপাড়ার ঘরদোর থেকে শুরু করে এমনকী নামীদামি আবাসনও জলে থইথই। বেলা গড়াতে বৃষ্টি ধরলেও জমা জলের যন্ত্রণায় নাকাল মানুষ। সাতসকালের জোয়ারকেই এজন্য ভিলেন ঠাউরেছেন মেয়র।
ব্যুরো: একে তো রাত গড়িয়ে সকাল, বৃষ্টি থামার নাম নেই। তার ওপর সাতসকালেই ভরা জোয়ার। খোলা যায়নি নিকাশির লকগেট।জমা জল বেরনোরই পথ পায়নি। সেই জোয়ার -যন্ত্রণার জেরেই বৃষ্টি কমলেও দিনভরই জলবন্দি কলকাতা।শুক্রবার সকাল থেকেই শহর যেন বানভাসি। জলমগ্ন গলি থেকে রাজপথ। এপাড়া ওপাড়ার ঘরদোর থেকে শুরু করে এমনকী নামীদামি আবাসনও জলে থইথই। বেলা গড়াতে বৃষ্টি ধরলেও জমা জলের যন্ত্রণায় নাকাল মানুষ। সাতসকালের জোয়ারকেই এজন্য ভিলেন ঠাউরেছেন মেয়র।
কিন্তু জোয়ারের কসুর কোথায়? তা ঠিকঠাক বুঝতে সবার আগে শহরের নিকাশির আউটলাইনে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া জরুরি।
এক নজরে নিকাশি
-----------
ব্রিটিশ আমল থেকেই শহরের নিকাশির ঢাল গঙ্গার বিপরীতে।
নদীতে নোংরা জলের অবাধ প্রবাহ ঠেকাতেই এমন পরিকল্পনা।
শুখা মরশুমে শহরমুখী ঢাল বেয়েই নিকাশির জল পৌছয় পাম্পিং স্টেশনে।
আর বর্ষার জল নদীতেই নিয়ন্ত্রিতভাবে পাঠাতে গঙ্গাপাড়ে নিকাশির চাবিকাঠি লকগেট।
বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টির জেরে শহরের শতায়ু নিকাশি এমনিতেই ছিল টইটম্বুর। চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী, নিকাশির লকগেট খুলে দিয়ে শহরের বৃষ্টির জল গঙ্গায় পাঠানোর কথা। কিন্তু গোল বাধাল জোয়ার। ভরা জোয়ারে ওই গেটগুলি আদৌ খোলাই যায়নি। ফলে জমা জল বেরতে না পেরে পথঘাট, বাড়িঘর ভাসিয়েছে দেদার। বিপত্তির এখানেই শেষ নয়। শুক্রবারের বেনজির জোয়ারে পুরআধিকারিকদের যাবতীয় হিসাব ঘেঁটে ঘ। লকগেট শেষপর্যন্ত যখন খোলা হল, তখনও জোয়ারের রেশ কাটেনি। লকগেট খোলা পেয়ে উল্টে সেই জল ঢুকে পড়ে শহরে। রাতারাতি কলকাতা বনে যায় জলশোভন তিলোত্তমা।
কলকাতাকে লন্ডন বানাতে উদ্যোগের শেষ নেই। সৌন্দর্যায়নের হাজারো কর্মসূচি চলছে অবিরাম। কিন্তু যে কোনও ঋতুতে শহর সাফসুতরো রাখতে দীর্ঘমেয়াদি নিকাশির পরিকল্পনা আজও স্রেফ শিকেয়। বাম আমলে এই জট খোলেনি। পরিবর্তনের জমানাতেও সেই ট্রাডিশন সমানে চলছে।