লিড দিলেই `১ কোটি` পুরস্কার ঘোষণা Firhad-এর, `খুনের সুপারি`র সঙ্গে তুলনা Samik-এর
সমালোচনা করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)। তিনি বলেন, `ববির টাকা দেওয়ার টোপ বেআইনি। কার টাকা দেবেন? কমিশনের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : দলকে লিড এনে দিলেই ১ কোটি টাকা 'পুরস্কার' দেওয়া হবে। লোকসভা ভোটে যে ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পিছিয়ে ছিল, সেই ওয়ার্ডগুলিতে দলকে লিড এনে দিতে পারলেই, ওই কাউন্সিলরকে '১ কোটির প্রাইজ মানি' (Prize money) দেওয়া হবে। আজ তৃণমূল ভবনে বৈঠকে ঘোষণা করলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। একুশের বিধানসভা ভোটে (WB assembly election 2021) জয় নিশ্চিত করতে পুরমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে পাল্টা কটাক্ষ করল বিজেপি (BJP) শিবিরও। ফিরহাদ হাকিমের '১ কোটির প্রাইজ মানি' ঘোষণাকে 'খুনের সুপারি' দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)।
শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তার আগে আজ তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসে নেতৃত্ব। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, পার্থ চ্যাটার্জি, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস প্রমুখ। বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূলের রণনীতি গুরু প্রশান্ত কিশোরও। সেখানেই ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ঘোষণা করেন, ২০১৯ লোকসভা ভোটে যেসব ওয়ার্ডে দল পিছিয়ে ছিল, সেখানে যদি এবার তৃণমূল কংগ্রেস লিড দেয়, তাহলে এলাকা উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ১ কোটি (1 crore) টাকা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের তরফে এরকম 'প্রাইজ মানি'র (Prize money) ঘোষণা এটাই প্রথম নয়। এর আগে লোকসভা ভোটের সময়ও ওয়ার্ডে ৫ হাজারের বেশি লিড এনে দিতে পারলে '১ কোটি পুরস্কার' ঘোষণা করেছিলেন তত্কালীন আসানসোল মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। সেইসময় যার তুমুল সমালোচনা করেছিলেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যদিও 'পরিবর্তন'-এর রাজনীতির পটভূমিকায় সেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি এখন শিবির বদলে ঘাসফুল থেকে পদ্মফুলে। একই পতাকার তলায় একসময়ের যুযুধান বাবুল-জিতেন্দ্র।
তবে, তৃণমূলের (TMC) প্রাইজ মানির টোপ অব্যাহত থাকল উনিশের পর একুশেও। লোকসভার পর বিধানসভা ভোটেও (WB assembly election 2021) তৃণমূলের তরফে কাউন্সিলরদের জন্য ১ কোটির পুরস্কার (Prize money) ঘোষণা করতেই, তুমুল কটাক্ষে বিঁধেছে বিরোধী বিজেপি শিবির। বিজেপি (BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করেন, "তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক দল নয়। দেউলিয়াপনা কোন পর্যায়ে পৌঁছলে একটা দল এভাবে কন্ট্রাক্ট দেয়! এটা তো ভোটে জেতানোর কন্ট্রাক্ট দেওয়া হচ্ছে। খুন করার জন্য যেমন সুপারি দেওয়া হয়! এটাও তেমন।" পাশাপাশি, সমালোচনা করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)। তিনি বলেন, "ববির টাকা দেওয়ার টোপ বেআইনি। কার টাকা দেবেন? কমিশনের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া।"
উল্লেখ্য, আজকের বৈঠকে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়, ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আসার আগেই পুরো শহর 'বাংলা নিজের মেয়েকে চায়' এই ব্যানার ও তৃণমূলের পতাকায় মুড়ে ফেলতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগাতে হবে। নিজেদের শক্তির পরিচয় দিতে হবে। দল সকলের উপর নজর রাখছে। কাউন্সিলররা যেন পুরো শক্তি দিয়ে প্রচার করতে নামেন। প্রত্যেক কাউন্সিলরকে ৫০০০ করে রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হবে। সেগুলি বাড়ি বাড়ি বিলি করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন, Suvendu-র চ্যালেঞ্জের জবাব Mamata-র, শুধু নন্দীগ্রামেই লড়বেন নেত্রী
'নিরপেক্ষ থাকবেন না', Deputy Election Commissioner-কে অপসারণের দাবি TMC-র