নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হারছেন বলে আজ সুর চড়িয়েছেন অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, দুদফার ৬০ আসনের মধ্যে ৫০টির বেশি আসন পাবে বিজেপি। এমনটাই দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনে গত দফার ভোটগ্রহণ নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসে পাল্টা দিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জাত-পাত নিয়ে আমি রাজনীতি করি না : মমতা 


শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়(Subrata Mukerjee), ডেরেক ওব্রায়েন, নাদিমুল হক, নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সুখেন্দু শেখর রায়, যশবন্ত সিনহা। কমিশন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুব্রত বলেন, নন্দীগ্রামে(Nandigram) বিপুল মার্জিনে জিতবেন মমতা। ধারে কাছে কেউ আসবে না। অনেক অনিয়ম হয়েছে। তার পরেও ঐতিহাসিক মার্জিনে জিতবেন মমতা।


রাজ্যের অন্য কেন্দ্র থেকে মমতা দাঁড়াতে পারেন বলে গতকাল উলুবেড়িয়ার সভা থেকে জল্পনা ভাসিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি একই কথা বলেছেন অমিত শাহও। এনিয়ে সুব্রত বলেন, এরকম জল্পনা চলবে। এসব পার্টি দেখে হয়। বাজারের কথায় হয় না। অন্য কেন্দ্র থেকে মমতার দাঁড়াবার কথা যারা বলছেন তারা সব জ্যোতিষী, ওরা হাত গোনেন। বিজেপির সবাই জ্যোতিষী হয়ে গিয়েছেন। এসব গল্প কথা। বারবার ইভিএম খারাপ হয়েছে, অনেক অসামাজিক কাজ হয়েছে, বিজেপির গুন্ডারা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, মোট ৩০০ অভিযোগ জমা দিয়েছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করছে। কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।


আরও পড়ুন-দু'দফার ৬০ আসনের মধ্যে ৫০টির বেশি আসনে জিতে গিয়েছে BJP: Amit Shah  


তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের তরফে যশোবন্ত সিনহা বলেন, গত দুদফার ভোটে আমাদের যেসব অভিযোগ রয়েছে তা লিখিত রূপে দিয়েছি। যেখানে কমিশনের ত্রুটি রয়েছে বলে আমরা মনে করছি তা কমিশনের নজরে আনা হয়েছে। বিশেষ করে ইভিএম সম্পর্কে। এছাড়া বিজেপি যে হিংসা করেছে তা কমিশনকে জানানো হয়েছে। গত দুদফায় হিংসা সহ একাধিক সমস্য়ার পরও  আমরা বিশ্বাস করি মমতা বিপুল ভোটে জিতছেন। পাশাপাশি অধিকাংশ আসনে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন প্রথম দফার ৩০ আসনের মধ্য়ে ২৬ আসেন বিজেপি জিতবে। আমি টুইট করে বলেছিলাম, উনি ৩২ কিংবা ৩৫ আসনের কথাও বলে ফেলতে পারতেন। প্রথম দফায় ২৬ আসনের কথা বলেছিলেন। এবার করছেন না কেন? 


কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যশোবন্ত সিনহা বলেন, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন হয়। হওয়াই উচিত। কিন্তু একজন প্রাক্তন প্রার্থীর হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অনেক সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিরপেক্ষ হয় না। এখন কেন্দ্রে এমন সরকার রয়েছে যারা ভোটে জেতার জন্যে যে কোনও পর্যায়ে নামতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরামর্শ দেন যে বিজেপি ভোটারদের নিয়ে যেতে হবে, তৃণমূল ভোটারদের ঠেকাতে হবে তাহলে কমিশনকে দেখতে হবে তা যেন না হয়। ভোটে যতটা বাধা সৃষ্টি করা যায় তা বিজেপি করছে। তার পরেও মানুষের উত্সাহের কাছে তারা হার মানছে।