নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে তোলপাড় হয়ে ওঠে চেতলা। খবর করতে গেলে হামলা করা হয় জি ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিককে। ক্য়ামেরা ভেঙে দেওয়া হয়। সাংবাদিক ও চিত্র সংবাদিকদের মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়ে ফেসবুকে সরব হলেন রুদ্রনীল ঘোষ। সংঘর্ষের জন্য অঙুল তুললেন পিটার মুখোপাধ্যায় নামে ফিরহাদ হাকিমের এক অনুগামীর দিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ত্রাল ও সোপিয়ানে রাতভর গুলির লড়াই, খতম ৫ জঙ্গি


এক ফেসবুক পোস্টে রুদ্রনীল(Rudranil Ghosh) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে ভবানীপুর বেরিয়ে যাচ্ছে। উনি তা জেনে গিয়েছেন। তবে যাদের ভোট দিয়ে সরকার গঠন হয়, তাদের কী দোষ! প্রার্থীরা আসবেন, ভোট চাইবেন। এটাই গণতন্ত্র। নন্দীগ্রামে পরাজয় নিশ্চিত জেনে গিয়েছেন। আর যে অঞ্চল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মমতা হয়েছিলেন সেখানকার কোনও উন্নয়ন করেননি। আমরা যখন এখানে প্রচার করতে আসছি তখন আমাদের উপরে আঘাত নেমে আসছে। যত আঘাত আসছে ততই এলাকার মানুষ মজবুত হচ্ছেন।


রুদ্রনীল আরও বলেন, মমতা বলেছিলেন এলাকায় ৯৮ শতাংশ উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এই সবজি বাগান লেনে ঘরে ঘরে গিয়ে দেখেছি উন্নয়ন দেখে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে যাবে। তাই আমাদের কর্মীদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাকেও প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি লোকজনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এখানে ঢুকলে মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেব। সকালে এখানে এসেছি। মানুষ এগিয়ে এসেছেন।  তারা আমাদের দুঃখের কথা জানিয়েছেন। এটা নাকি ববি হাকিমের এলাকা। তিনি ছাড়া নাকি অন্য কেউ কিছু বলতে পারেন না। অনেকে বলছিলেন, আমাদের প্রাণহানি হতে পারে। ঠিক সেই ঘটনাই হয়ে গেল। গত রাতে ববি হাকিমের(Firhad Hakim) বেশকিছু অনুগামী এই অঞ্চলে ঢুলেন বন্দুক নিয়ে, সোড নিয়ে। এই অঞ্চলের মানুষকে হুমকি দিয়ে গেলেন। ববি হাকিমের অনুরাগী পিটারকে এখানকার মানুষ চেনে। তার সঙ্গে ছিল টিঙ্কু বলে একজন। তারা হয়তো ভাইপোরও অনুগামী। তারা এখানে ঢুকে কী করে গিয়েছেন শুনুন। অনিমেশ বলে একজনের বাড়ি ভাঙচুর করে, ওকে তাড়া করে। তাকে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন-বালিগঞ্জে যান্ত্রিক বিভ্রাট, শিয়ালদহগামী ট্রেন চলাচল ব্যাহত



রুদ্রনীলের ক্যামেরার সামনে এলাকার মহিলাদের দাবি, গতরাতে উইকেট নিয়ে ব্যাট নিয়ে এলাকায় ঢুকেছিল একদল লোক। ভোজালি, পিস্তল নিয়ে এসেছিল। মা নিজের ছেলেকে চিনতে অস্বীকার করছে। দুশো থেকে আড়াইশো লোক এসেছিল। 


ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম আজ বলেন, 'যেই করেছে অন্যায় করেছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যে রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন, তাঁকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি  দেওয়া হবে। এই এলাকায় বিজেপির কোনও লোক নেই। বাইরে থেকে বহিরাগত লোক এনে হামলা করিয়েছে বিজেপি।' ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 'হার জেনেই আক্রমণাত্মক শাসক দল।'