Kali Puja 2023: শব্দদানব রুখতে তত্পর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, ড্রোনের নজরদারিতে কী ধরা পড়ল কলকাতা-হাওড়ায়?
Kali Puja 2023: দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দফতরে বিশাল ডিজিটাল পর্দায় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বাজির উপরে নজর রাখছেন পর্যদ কর্তারা। ড্রোনের ফুটেজ চলে আসছে পর্ষদের অফিসে। কোন জায়গায় বাজির শব্দের প্রাবল্য কীরকম ও দূষণের মাত্রা কীরকম তার পরিসংখ্যান আসছে
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য ও দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: কালীপুজোয় বাজি ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে তত্পর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। রাজ্যের ১৭৫টি জায়গায় বায়ু ও শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ণায়ক যন্ত্র স্থাপন করেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। আরও ৭৫ টি জায়গায় এই যন্ত্র কাজ শুরু করবে। আপাতত দু একটি জায়গা ছাড়া কোনও জায়গা থেকে বড়সড় অভিযোগ আসেনি। জানাল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। ড্রোন উড়িয়ে বাজির উপরে নজর রাখছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন-দিনভর উপবাস, বাড়িতে কালীপুজোর আয়োজনে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী...
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই একটি হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। বিকেল পাঁচটা থেকে সেটি অপারেশন শুরু করেছে। ড্রোন উড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় নজর রাখা হচ্ছে কোথাও কোনও শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছে কিনা। অন্যদিকে, রবিবার সন্ধ্যের কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বেশিরভাগ জায়গায় বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল উদ্বেগজনক। সন্ধ্যে ৭টায় ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী (PM 2.5) রবীন্দ্র সরোবরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স(AQI) ছিল ২১০, বালিগঞ্জে ছিল ২৪২, যাদবপুরে ছিল ২৫৪, বিধাননগরে ছিল ২৩২, ফোর্ট উইলিয়ামে ছিল ২৪৪ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় ছিল ২৬৭। এখন রাত অনেক বাকী। ফলে বাতাসে দূষণের মাত্রা আরও অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কলকাতা বাজি বাজার সমিতির সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না বলেন, বাজি ব্যবসায়ীরা অনেকেই এখনও বুঝতে পারেন না কোনা গ্রিন বাজি আর কোনটা গ্রিন বাজি নয়। ফলে এনিয়ে তাদের সচেতন করার প্রয়োজন। অন্যদিকে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বাজি প্রসঙ্গে বলেন, গ্রিন আতসবাজি হল সোনার পাথরবাটি। বারুদ পুড়লে আলো, ধোঁয়া ও শব্দ তৈরি হয়। এগুলির সবটাই মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। যে কেমিক্যালই ব্য়বহার হোক না কে তা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতি হবে।
কলকাতা পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে কলকাতার যেসব জায়গায় বড়বড় পুজো হয় বা গত বছর যেসব জায়গায় বাজি ফাটানোর অভিযোগ এসেছিল সেইসব জায়গায় কলকাতা পুলিসের একটি টিম দফায় দফায় হানা দেয়। গতকাল ওই অভিযানে ৬টি মামলা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৬৪৬ কেজি বাজি। গতাকাল রাত পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দফতরে বিশাল ডিজিটাল পর্দায় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বাজির উপরে নজর রাখছেন পর্যদ কর্তারা। ড্রোনের ফুটেজ চলে আসছে পর্ষদের অফিসে। কোন জায়গায় বাজির শব্দের প্রাবল্য কীরকম ও দূষণের মাত্রা কীরকম তার পরিসংখ্যান আসছে। বরিষা, সল্টলেক, কলেজ স্ট্রিট-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় শব্দ দানবের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। পর্যদ সভাপতি বলেন, ড্রোন দিয়ে হাওড়ার একাংশ ও কলকাতার উপরে নজর রাখা হচ্ছে। বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় বাজি ফাটছে। কোনও জায়গায় যদি দেখা যায় বেশি বাজি ফাটছে সেখানে পুলিস চলে যাবে। সন্ধে আটটা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই বলা যায়। শহরের মানুষ সহযোগিতা করছেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)