JU Student Death: 'বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা, নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে স্বপ্নদীপকে'!
রানাঘাটে মামার বাড়িতে গিয়ে নিহত পড়ুয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বললেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হুঁশিয়ারি, 'আমরা ছেড়ে দেব না। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব'।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'এটা অমার্জনীয়, কোনও মার্জনা হয় না। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব'। স্বপ্নদীপের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, 'ছেলেদের হস্টেলে দাদাগিরি চলে। প্রাক্তনীদের দাদাগিরি চলে। বহিরাগতরা আসে। যা ইচ্ছে করে। ওদের কাউকে কিছু বলার সাহসই নেই'। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও গেলেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: JU Student Death: অভিযুক্তরা আরও বিপাকে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে এবার পকসো ধারায় মামলা!
খুনের অভিযোগ তো ছিলই। স্বপ্নদীপের অপমৃত্যুতে এবার পকসো আইনে মামলা! আগামিকাল, সোমবার আদালতে আর্জি জানাতে চলেছে কলকাতা পুলিস। কেন? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত পড়ুয়ার বয়স এখনও আঠেরো হয়নি। সে নাবালক।
চুপ করে বসে নেই রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও। এদিন রানাঘাটে স্বপ্নদীপের মামার বাড়িতে গিয়ে, বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন কমিশনের উপদেষ্টা অনন্য চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সামনে কান্নার ভেঙে পড়েন মৃতের মা। শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা বলেন, 'বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটে ছ্য়াঁকা পাওয়া গিয়েছে। নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে, যেটা বাবা-মা বললেন। যখন বডিতে ঘি মাখানো হচ্ছিল, সেই সময়ে ওরা দেখেছেন। এটা অমার্জনীয়, কোনও মার্জনা হয় না। আমি খুব কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা ছেড়ে দেব না। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব'।
তিনি জানান, 'যখন হোক কলবর আন্দোলন হয়েছিল, তখন একটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটিতে আমি ছিলাম। বিভিন্ন সুপারিশের মধ্যে সিসিটিভিও ছিল, রেজিস্টার ম্যানটেন করাও ছিল। যিনি কেয়ারটেকার ছিলেন, তিনি এত ভয় পেয়েছিলেন রেজিস্ট্রার ম্যানটেন করতে হবে শুনে। যেদিন ওখানে সিসিটিভি বসানোর কথা হয়েছিল, এক প্রথিতযশা অধ্য়াপক ফুটপাতে ক্লাস নিতে শুরু করেছিলেন'। সঙ্গে প্রশ্ন, 'কেন সিসিটিভি লাগবে না? সিসিটিভি মানেই কি নৈতিক পুলিস? তাহলে এটিএম, হাসপাতালে কেন সিসিটিভি লাগে? ওটা কি অন্য় গ্রহ নাকি'?
সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সুদেষ্ণা রায়। সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায়। পুলিস উপস্থিতিতে হস্টেলের সেই বারান্দা, স্বপ্নদীপ যে ঘরে থাকত, সেই ঘর পরিদর্শন করেন তাঁরা। কথা বলেন আবাসিকদের সঙ্গে।