এনডিএ`র বন্‌ধেও কাজে যোগ দিতে ফতোয়া সরকারি কর্মীদের

৩১ মে ভারত বন্‌ধের দিন সরকারি কর্মচারীদের অফিস হাজিরা নিয়ে ফতোয়া জারি করল সরকার। রাজ্যের মুখ্যসচিব এ বিষয়ে সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করেছেন। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ওই দিন ভারত বনধের ডাক দিয়েছে এনডিএ। রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন ইউনিয়ন।

Updated By: May 30, 2012, 08:39 AM IST

৩১ মে ভারত বন্‌ধের দিন সরকারি কর্মচারীদের অফিস হাজিরা নিয়ে ফতোয়া জারি করল সরকার। রাজ্যের মুখ্যসচিব এ বিষয়ে সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করেছেন। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ওই দিন ভারত বনধের ডাক দিয়েছে এনডিএ। রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন ইউনিয়ন।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমনীতি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ, নূন্যতম মজুরি আইনের পরিবর্তন, সমস্ত শ্রমিকের অবসরকালীন সামাজিক সুরক্ষা, সব সংস্থায় শ্রমিক সংগঠনের বাধ্যতামূলক নথিভুক্তি-সহ একগুচ্ছ দাবিতে ১১টি ডান-বাম শ্রমিক সংগঠনের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দিনও অফিসে হাজিরা দিতে হবে বলে ফতোয়া জারি করেছিল রাজ্য সরকার সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে সার্কুলার জারি করে বলা হয়েছিল, ওইদিন অফিসে হাজিরা দিতে হবে সব সরকারি কর্মীকে। অন্যথায়, কেটে নেওয়া হবে একদিনের বেতন। বাদ যাবে কর্মজীবন থেকে একদিন। ফতোয়া মতোই ওইদিন অনুপস্থিত কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। ব্যবস্থাও নেন তাঁদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘিরে এখনও ইউনিয়ন এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত। ইউনিয়নের বক্তব্য সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের অধিকার রয়েছে। সরকার তা মানেনা। চলছে আন্দোলনও। তার মধ্যেই আরও একবার একই ফতোয়া জারি করল রাজ্য সরকার। 
  
তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক উদারিকরণ নীতির মতোই পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতেও কার্যত বিরোধী এনডিএ ও বাম দলগুলির সুরেই কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম একলাফে ৭ টাকা ৫০ পয়সা বাড়িয়ে দেওয়ায় কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু একই ইস্যুতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলহগুলির প্রতিবাদের অধিকারে কার্যত হস্তক্ষেপ করছেন তিনি। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৩১মে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে এনডিএ। অথচ ওইদিন সব সরকারি কর্মচারীকে অফিসে হাজিরা দিতে হবে বলে ফতোয়া জারি করেছে রাজ্য সরকার। ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী দ্বিচারিতা করছেন। পেট্রোলের দাম বাড়ার বিরুদ্ধে তিনি নিজে যেখানে সরব, সেখানে একই ইস্যুতে এনডিএ-র ডাকা বনধের বিরোধিতা করছেন তিনি। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রে ইউপিএ-র শরিক হওয়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

.