নিজস্ব প্রতিবেদন: হাইকোর্টের নির্দেশের পর কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার পাল্টা তৎপরতা রাজ্যের। কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করছে, ভোটের মুখে ইসিএল-র (ECL) ৩৩ মামলায় আবার আলাদাভাবে সিট (SIT) গঠন করল নবান্ন। আগামীকাল আসানসোল যাচ্ছে রাজ্য পুলিসের উচ্চ পর্যায়ের দল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। ভোটের প্রচারে কয়লা পাচারকাণ্ডকে হাতিয়ার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। প্রায় প্রত্যেকটি জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার বারুইপুরের জনসভায় আবার অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলার প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। সভামঞ্চ থেকে রীতিমতো প্রমাণ দেখিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালার টাকা ব্যাংককে যায়। এমনকী, অভিষেকের স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কিছু নথিও পেশ করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এবার কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করল রাজ্য় সরকার। রাজনৈতিক কারবারীদের মতে,  ভোটের মুখে সরকারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।


আরও পড়ুন: যে পথে 'হামলা' JP Nadda-র কনভয়ে, সেই পথেই এবার কলকাতায় রথ আনার পরিকল্পনা BJP-র


প্রসঙ্গত, এ রাজ্যের একযোগে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI), ইডি-র (ED) মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। গতকাল মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার (Lala) দায়ের করার মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছে, রেলের এলাকার বাইরে গিয়ে তল্লাশি করতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি দরকার। রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই-কে (CBI) তদন্ত চালাতে হবে। সেই তল্লাশি করতে রাজ্য পুলিসের সঙ্গে যৌথভাবে। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর তৎপরতা শুরু হয়েছে সিবিআই-র অন্দরেও। প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য পুলিসকে কেন তল্লাশি চালাতে হবে? হাইকোর্টের নির্দেশ কপি পেলেই লিগ্যাল সেলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।