ওয়েব ডেস্ক: প্রযুক্তির ছোঁয়া বিধানসভার লাইব্রেরিতে। ঢাউস খাতার দিন শেষ। শিগগিরি ডিজিটাইজড হচ্ছে বিধানসভার গ্রন্থাগার। তারপর চলে আসবে অ্যাপসে। এক্কেবারে আম জনতার হাতের মুঠোয়।বিধানসভা। ইতিহাসের নানা ওঠাপড়ার সাক্ষী। বিধান রায়-প্রফুল্ল সেন-সিদ্ধার্থশংকর রায়-জ্যোতি বসু- থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিন্ন সময়। ভিন্ন মুখ্যমন্ত্রী। ভূমি সংস্কার বিল কিংবা অপারেশ বর্গা। নানা ইস্যুতে  বিধায়কদের তর্ক-বিতর্কের হাতিয়ার জুগিয়েছে বিধানসভার লাইব্রেরি। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই লাইব্রেরি। গ্রন্থাগারের প্রাচীন শরীরে এবার প্রযুক্তির ছোঁয়া। ডিজিটাইজড হচ্ছে বিধানসভার লাইব্রেরি। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলা বিধায়কদের সব বক্তব্যের রেকর্ডই রয়েছে বিধানসভার লাইব্রেরিতে।এখন তা বন্দি বইয়ের আকারে লাইব্রেরির ঢাউস তাকে।ধুলো আস্তরণ সরিয়ে সেখান থেকে রেফারেন্স বের করে আনা সত্যি চ্যালেঞ্জ।পরিসংখ্যান বলছে...এই সমস্যার জন্যই। ২৯৪ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ১০% এই মুহুর্তে লাইব্রেরি ব্যবহার করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন দলের অনুষ্ঠানে কি তাহলে ব্রাত্য হয়ে গেলেন মদন মিত্র?


ছবিটা বদলাতে চান বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। গ্রন্থাগার বিভাগের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন..ডিজিটাইজড করা হোক বিধানসভার ঐতিহ্যবাহী এই গ্রন্থাগার। যাতে এক ক্লিকে মুহুর্তে বিধায়কদের সামনে চলে আসে -বিধান রায়-প্রফুল্ল সেন- সিদ্ধার্তশঙ্কর রায়-জ্যোতি বসুর আমলের যেকোনও আলোচনা। ধরুণ অপারেশন বর্গা নিয়ে কোনও বিধায়ক কিছু জানতে চান। কম্পিউটারে লিখতে হবে অপারেশন বর্গা। তারপর মাউসে একটা ক্লিক। সঙ্গে সঙ্গে সামনে চলে আসনে এই সংক্রান্ত বিধানসভায় আলোচনা হওয়া যাবতীয় তথ্য। এখানেই অবশ্য শেষ নয়। শুধু বিধায়করা নন। ঐতিহ্যশালী বিধানসভার লাইব্রেরিকে আম-জনতার মুঠোতেও পৌছে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে মুখ্য সচেতকের।পুরোপুরি ডিজিটাইজড হওয়ার পর লাইব্রেরি অ্যাপস তৈরিরও চিন্তাভাবনা রয়েছে।তখন আম জনতাও বিধানসভার যেকোনও ঘটনার রেফারেন্স সহজেই পেয়ে যাবেন।ইতিহাসের পাতা থেকে প্রযুক্তি রাস্তায়। সবদিক দিকে বিধানসভাকে আরও সমৃদ্ধ করতেই নয়া এই পদক্ষেপ।


আরও পড়ুন  কেন আত্মঘাতী হলেন বেহালার মৌ দাস?