কেন আত্মঘাতী হলেন বেহালার মৌ দাস?
পারিবারিক অশান্তি নেই। নেই অন্য কোনও সমস্যাও। তবে কেন আত্মঘাতী হলেন বেহালার মৌ দাস? একদিন পরও অন্ধকারে পুলিস। মৌয়ের স্বামী ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তেমন কোনও তথ্য মেলেনি। গতকাল রাতে নেতাজি ভবনে মেট্রো স্টেশনে চার বছরের সন্তানকে নিয়ে মেট্রোয় ঝাঁপ দেন মৌ। শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল।
ওয়েব ডেস্ক: পারিবারিক অশান্তি নেই। নেই অন্য কোনও সমস্যাও। তবে কেন আত্মঘাতী হলেন বেহালার মৌ দাস? একদিন পরও অন্ধকারে পুলিস। মৌয়ের স্বামী ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তেমন কোনও তথ্য মেলেনি। গতকাল রাতে নেতাজি ভবনে মেট্রো স্টেশনে চার বছরের সন্তানকে নিয়ে মেট্রোয় ঝাঁপ দেন মৌ। শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল।
মানসিক অবসাদ। ন মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মা পৌলমী রাউতের। মাঝে মাত্র তিনটে দিন। চার বছরের ছেলে নিয়ে মেট্রোয় মরণঝাঁপ মায়ের। কপাল জোরে বেঁচে যায় শিশুটি।
রাত তখন নটা সাত। নেতাজি ভবন স্টেশনে ঢুকছে কবি সুভাষগামী মেট্রো। আচমকাই ছেলের হাত ধরে লাইনে ঝাঁপ দেন মৌ দাস। মৌয়ের শরীরের ওপর দিয়ে ছটি রেক বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। কিন্তু বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে যায় চার বছরের ছোট্ট শিশুটি। তড়িঘড়ি তাকে SSKM ভর্তি করা হয়।
আরও পডুন
-
নভেম্বরের শেষে প্রকাশ্যে এসেছে শিশু পাচারের রমরমা নেটওয়ার্ক
-
তেল নয়, জলে ছুটবে গাড়ি, নবম শ্রেণির দুই পড়ুয়ার তৈরি মডেল দেখে অবাক সবাই
এমন চরম সিদ্ধান্ত কেন নিলেন মৌ? ভেবে পাচ্ছেন না মৌয়ের পরিবার-পরিজন। স্বামীর দাবি, তাঁদের সংসারে কোনও সমস্যা ছিল না। দুজনের মধ্যে কোনও কিছু নিয়ে অশান্তিও ছিল না। শনিবার বিকেলে বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোন মৌ। মাকে বলেন ছেলে নিয়ে পার্কে যাচ্ছেন। তারপরই মেয়ের এমন সিদ্ধান্ত। কারণ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন মাও। জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তাঁর।
তবে কী গভীর কোনও মানসিক অবসাদ। যার হদিশ পাননি মৌয়ের ঘনিষ্ঠজনেরাও? মৌয়ের স্বামী ও মায়ের সঙ্গে কথা বলে সেটাই বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মৌয়ের একমাত্র সন্তানের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল।