C V Ananda Bose `Hatey Khari`: রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে নেই শুভেন্দু, দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিলেন বিরোধী দলনেতা
রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ বলেন, শুনলাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নাকি রাজ্যপালের বাংলা শেখার হাতেখড়ি হবে। এখন ভুল মাস্টারের কাছে যদি শেখেন তাহলে ভুলই শিখবেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে বরাবরই সরব রাজ্য বিজেপি। বৃহস্পতিবার সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু থাকবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। নিজেই সেই সন্দেহ কাটালেন বিরোধী দলনেতা। রাজভবনে রাজ্যপালের বাংলায় হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে তিনি থাকছেন না বলে ট্যুইট করে জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন-চিনতে পারছেন? সাধুর বেশে পর্দায় সুপারস্টার...
কেন ওই অনুষ্ঠানে নেই শুভেন্দু? ওই ট্যুইটে রাজ্যপালের সুখ্য়াতি করা পর লিখেছেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে টাকা দিয়ে চাকরি হচ্ছে। এদের কালির ছিটে পড়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতরের উপরে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ শিক্ষা দফতরের অধিকাংশ আধিকারিকরাই এখন জেলে। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এই ধরনের হাতেখড়ির অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন বলে মনে হয়। রাজ্যে যে শিক্ষা দুর্নীতি হয়েছে তার ক্যুইন পিন হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতেখড়ি এমন একটি বিষয় যা বাঙালির আবেগের সঙ্গে মিশে রয়েছে। তাই এই ধরনের অনুষ্ঠান রাজভবনের মর্যাদা বাড়াবে বলে আমার মনে হয় না। তাই ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারছি না।
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ বলেন, শুনলাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নাকি রাজ্যপালের বাংলা শেখার হাতেখড়ি হবে। এখন ভুল মাস্টারের কাছে যদি শেখেন তাহলে ভুলই শিখবেন। উনি ঠিকঠাক মাস্টার চয়ন করুন। বাংলায় যদি উনি কথা বলেন তাহলে আমরা খুশি হব। বাংলা সাহিত্য পড়তে পারবেন। আরও ভালো লাগবে।
রাজ্যপালের বাংলা শেখা বা তাঁর হাতেখড়ি নিয়ে জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়ার এক সাক্ষাতকারে সরব হন বিজেপি নেতা স্বপন দাসগুপ্ত। বিজেপি নেতা বলেন, একজন বয়স্ক মানুষ বাংলা শিখছেন। খুবই ভালো কথা। কিন্তু এটার মধ্যে একটা রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। এই বার্তাটা হল, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে সবই যেন ঠিক আছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রটা ঠিক নেই। দুর্নীতির কথা তো বলাই হয়েছে। গোটা শিক্ষা দফতরটা এখন প্রায় জেলে। এরকম একটা সময়ে হাতেখড়ি নেওয়াটা একটা দেখনদারি বলে মনে হচ্ছে। এটা একটা স্টান্ট। এই স্টান্টের মধ্যে রাজ্যপালের পড়া উচিত নয়। উনি এখানে একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন।