ডিসেম্বরের শুরু, কিন্তু রাজ্যে কবে আসবে শীত?
ওয়েব ডেস্ক: নভেম্বরও শেষ। খাতা খুলেছে ডিসেম্বর। অথচ শীতের দেখা নেই! উত্তুরে হাওয়ার সামনে চওড়া দিওয়ার হয়ে দাঁড়িয়ে তিন মাস্তান। নিম্নচাপ, এল নিনো আর দূষণ। তিন সমস্যার ফাঁসে বন্দি শীতবুড়োর আগমন। ডিসেম্বর পড়ে গেল। কিন্তু শীত কই? বাসে, ট্রামে, ট্রেনে এখন এটাই বড় প্রশ্ন। ঠান্ডার আমেজ দূরের কথা, এখনও ঘামছে শহর। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো যেসব জেলায় এই সময় বেশ ঠান্ডা পড়ে, সেখানে শীতের দেখা নেই। রোদ ঝলমলে আবহাওয়ার বদলে আকাশে মেঘ। শীতবুড়োর আসার পথে পাহারা বসাল কারা?
বঙ্গোপসাগরের তামিলনাড়ু উপকূলে জাঁকিয়ে বসেছে নিম্নচাপ। উত্তুরে হাওয়ার সামনে পাঁচিল তুলে দাঁড়ানো নিম্নচাপের জেরে কলকাতায় শীত আসতে এত দেরি। শীত দেরিতে এলেও, কতদিন থাকবে, তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত নতুন কিছু নয়। কিন্তু আবহবিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন ঘনঘন নিম্নচাপ আর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। তার জেরে বাড়ছে সাগরের জলের তাপমাত্রা।
ধোঁয়াধুলো ভরা শহর এখন শীতের পথে অন্তরায়। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, কলকারখানা বা গাড়ি থেকে বেরনো ধোঁয়ায় প্রচুর কার্বন কণা থাকে। এই সব কার্বন কণা তাপ বেশি ধরে রাখে। এর ফলে হাওয়া তো বিষাক্ত হচ্ছেই। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়ছে।
এরাজ্যে শীতের আমেজের জানান দেয় উত্তুরে হাওয়া। ঘনঘন নিম্নচাপের জেরে উত্তরের বরফ ছুঁয়ে আসা ঠান্ডা হাওয়া রাজ্যে ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো এখন যথেষ্ঠ শক্তিশালী। তার প্রভাবে সারা বিশ্বে জলের তাপমাত্রা বাড়ছে। এর প্রভাব পড়েছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হওয়ায়, শীত আসবে আসবে করেও আসছে না।
এরাজ্যে তাহলে কবে আসবে শীত? আদৌ আসবে? নাকি শরত্ হেমন্ত বসন্তের মতো শীতও হারিয়ে যাবে ঋতুচক্র থেকে? আবহবিদরা বলছেন, বিশ্বউষ্ণায়নের জেরে জলবায়ু যেভাবে মতিগতি বদলাচ্ছে, তাতে কিছুই বলা যায় না।
ডিসেম্বরের শুরু, কিন্তু রাজ্যে কবে আসবে শীত?
![ডিসেম্বরের শুরু, কিন্তু রাজ্যে কবে আসবে শীত? ডিসেম্বরের শুরু, কিন্তু রাজ্যে কবে আসবে শীত?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/12/01/45847-winter1-12-15.jpg)