'২০টি জেলায় ভয়াবহ আক্রমণ করবে ঘূর্ণিঝড়', জানিয়ে প্রস্তুতির খতিয়ান দিলেন Mamata
পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas)। তার প্রভাব রাজ্যে ২০টি জেলায় পড়বে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি সারা রাজ্য প্রশাসনের। সে কথা নিজেই শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর অনুরোধ, অকারণে দুর্যোগের মধ্যে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। সতর্ক করেছেন মৎস্যজীবীদেরও।
বুধবার দীঘা ও বালাশোরের মাঝে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas)। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এ দিন জানালেন,''একটা অতি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। ৭২ ঘণ্টা ধরে চলবে এটা। ২০টা জেলায় ভয়াবহভাবে আক্রমণ করবে ঘূর্ণিঝড়। কোথাও কম কোথাও বেশি দাপট থাকবে। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা তো থাকছেই। তাছাড়া হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে প্রভাব পড়বে। খুব বেশি বৃষ্টি হবে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিঙে।''
পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বলেন,''২৪ ঘণ্টার দুর্যোগ কন্ট্রোল রুম চালু হয়ে গিয়েছে। কন্ট্রোল রুমে রয়েছে ব্লকস্তর পর্যন্ত। ৪০০০ রিলিফ সেন্টার রয়েছে সুন্দরবন, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরে।আগামিকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা নবান্ন ও উপান্ন থেকে চলবে নজরদারি। ৫১টি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকে তৈরি রেখেছি। ১৫ দিন আগে থেকে বারবার বৈঠক করা হয়েছে। হাসপাতালে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যতটা পারব চেষ্টা করব। প্রকৃতি তো কারও হাতে নেই। ৪ হাজার সাইক্লোন শেল্টার, ফুড শেল্টার রয়েছে। যত দূর জানি আমপানের চেয়ে বড় হতে চলেছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা ফেরাতে ১০০০ টিম তৈরি রাখা হয়েছে। টেলিকম পরিষেবা ফেরাতে রয়েছে ৪৫০টি টিম। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলকে কয়েকটি ট্রেন বাতিল করতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে। ১০ লক্ষ লোককে উদ্ধার করার টার্গেট রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে। জ্বর, সাপে কাটা, ডায়েরিয়ার ওষুধ তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। ব্লকস্তরে রিলিফ ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।
ঝড়ের সময় বাইরে না বেরোতেও আবেদন করেছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর বার্তা, সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করব, আপনারা জেনেশুনে জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। ২-৩ দিন থাকতে হবে শেল্টারে। জীবন অনেক বড়। অনেক সময় বারণ করা সত্ত্বেও মাছ ধরতে যায় মৎস্যজীবীরা। গতবারও বারবার বারণ করা সত্ত্বেও শুনল না। ৯-১০ চাপা পড়ে মারা গেল! দু-একটা দিন মাছ ধরতে না গেলে সাংসারটা বাঁচবে। মৎস্যজীবীদের অনুরোধ করব, এই সময়টা নদীতে যাবেন না।''
আরও পড়ুন- PM Modi-কে চিঠি দিয়েছিলেন Mamata, আলাপনের মেয়াদ বৃদ্ধিতে অনুমোদন কেন্দ্রের