নিজস্ব প্রতিবেদন: আমপান পরবর্তী বিপর্যয় থেকে শিক্ষা। ইয়াসের মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য বিদ্যুত্‍ পর্ষদ। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। বিদ্যুতের খুঁটি,লাইন মেরামতির জন্য পর্যাপ্ত কর্মীও তৈরি রাখা হজচ্ছে। সমন্বয় বাড়াতে জেলাস্তরে নিয়োগ করা হচ্ছে বিশেষ আধিকারিক নিয়োগ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক ১ বছর আগে বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছিল আমপান। বিধ্বংসী সেই ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে নেমে আসে অন্ধকার। ঝড়ের সাত দিন পরেও জল-বিদ্যুতের অভাবে বিক্ষোভের স্মৃতি, এখনও টাটকা অনেকের মনে। সেই অধ্যায় থেকে শিক্ষা নিয়ে, ইয়াসের আগে তাই কোমর বেধে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুত্‍ পর্ষদ। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সম্ভাব্য বিপর্যয় মোকাবিলায় একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্ষদের কর্তারা। ঠিক হয়েছে- 


 


- ২৫ মে থেকে বিদ্যুত্‍ ভবনে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। 
- কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৮৯০০৭-৯৩৫০৩ এবং ৮৯০০৭-৯৩৫০৪।
- ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থাকা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও থাকবে কন্ট্রোল রুম। 
- বিদ্যুতের ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতির জন্য জেলাস্তরে বিশেষ আধিকারিক নিয়োগ।
- হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে নিয়োগ করা হবে অতিরিক্ত মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার স্তরের আধিকারিক। 
- বিদ্যুতের খুঁটি,  লাইন মেরামতির জন্য থাকবেন পর্যাপ্ত কর্মী। 
- কলকাতা পুর এলাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক বিদ্যুত্‍ রক্ষণাবেক্ষণকারী দল।  
- ঝড়ের পর হাসপাতাল, সেফ হোম, মোবাইল টাওয়ারে বিদ্যুত্‍ সংযোগ চালু করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।


হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বুধবার দক্ষিণবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে ইয়াস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় CESC ও রাজ্য বিদ্যুত্‍ পর্ষদকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬৫ কিলোমিটার গতিতে সাগর-পারাদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ইয়াস