মেকআপের পর যে ভুলগুলির ফলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে!
আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেকআপ আপনি নিয়মিত করুন বা মাঝেসাঝে, কখনও না কখনও হয়তো অবসন্ন শরীরে মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েছেন! একবার-দুবার মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে তেমন কিছু ক্ষতি নেই। কিন্তু নিয়মিত এমনটা হলেই বিপদ! কারণ, এর ফলে স্থায়ীভাবে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন মেকআপ না তুলে ঘুমালে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
প্রথমত, মেকআপ আপনার ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেয়। মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে ত্বকের রোমকূপ আটকে যায়, দেখা দেয় ব্রনর সমস্যা। এমনকি ব্রনর দাগও পড়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, চোখের মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আইলাইনার ও মাসকারা নিয়ে ঘুমালে আঁখিপল্লব ও ভ্রূ পড়ে যেতে পারে। এমনকি মাসকারার কারণে চোখের পাতায় ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা সিস্ট হতে পারে।
তৃতীয়ত, মেকআপ নিয়ে ঘুমালে সারাদিনের ময়লা ত্বকেই থেকে যায়। মেকআপ ত্বকের ওপরে একটি তেলতেলে স্তর তৈরি করে যার মধ্যে ময়লা, ব্যাকটেরিয়া ও দূষণ আটকে থাকে। তা নিয়েই ঘুমিয়ে পড়লে ত্বকের কোষগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এতে ব্রনর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, ত্বক রুক্ষ এবং নির্জীব হয়ে পড়ে।
জেনে রাখুন, শুধু লিপস্টিক ভালোভাবে না তুলে ঘুমাতে গেলেও সমস্যা হতে পারে। লিপস্টিকে থাকা উপাদানগুলো ঠোঁট শুষ্ক করে ফেলে। আর লিপস্টিকের উপাদানগুলোর কারণে ঠোঁটের আশেপাশে ডেড সেল বা মৃত কোষ দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘরেই বানিয়ে নিন অ্যান্টি এজিং ফেসিয়াল মাস্ক আর ফল পান হাতেনাতে
উজ্জ্বল, নিখুঁত ত্বক চাইলে অবশ্যই রাতে মেকআপ তুলে তারপর ঘুমাতে হবে। দেখে নিন রাতে মেকআপ তুলে ত্বক পরিষ্কার করার কিছু টিপস:—
১) প্রথমেই ত্বকে মেকআপ রিমুভার বা ক্লিনজার দিয়ে রাখুন ১৫ সেকেন্ড। এরপর মেকআপ ওয়াইপ বা সুতি কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
২) ত্বকে খুব জোরে ঘষাঘষি করবেন না বা রুক্ষ কাপড় ব্যবহার করবেন না। কটন ওয়াইপ ব্যবহার করতে পারেন।
৩) বেশি ভারী মেকআপ করা হলে এ পর্যায়ে কিছুটা স্টিম দিতে পারেন ত্বকে।
৪) চোখের মেকআপ পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকুন।
৫) ক্লিনজার এবং মেকআপ ওয়াইপ ছাড়াও অনেকে বেবি অয়েল ব্যবহার করে মেকআপ তোলেন। তেল ব্যবহারের পর অবশ্যই একটি তুলার বল বা প্যাড দিয়ে ত্বক থেকে এই তেল মুছে ফেলুন।
মেকআপ তুলে ফেলার পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুছ ধুয়ে ফেলুন। এরপর নিজের পছন্দের টোনার, ময়েশ্চারাইজার এবং সিরাম ব্যবহার করুন। কোনও ক্লিনজার ব্যবহার করে সকালেও আরেকবার মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন।