যে চাকরি ছিল পাখির চোখ, সেটাই ছাড়তে চান দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ!
একটা চাকরি পাওয়ার জন্য দেশের যুবক-যুবতীরা নিজেদের নিংড়ে দেন। একটা চাকরিই তাঁদের ভবিষ্যত্ সুনিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু জানেন কি, চাকরি ছাড়ার জন্যও মরিয়া হয়ে ওঠে মানুষ! এই ভারতেই। যে চাকরিটা ছিল দুর্মূল্য, সেই চাকরিটাই কেন ছাড়ার জন্য মানুষ এত উতলা হয়ে ওঠে! চাপ। কর্মজীবনের চাপটাই আর নিতে ভালো লাগে না, চাকুরিজীবীদের। এমনটাই বলছেন, সমাজতাত্ত্বিকরা।
ওয়েব ডেস্ক: একটা চাকরি পাওয়ার জন্য দেশের যুবক-যুবতীরা নিজেদের নিংড়ে দেন। একটা চাকরিই তাঁদের ভবিষ্যত্ সুনিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু জানেন কি, চাকরি ছাড়ার জন্যও মরিয়া হয়ে ওঠে মানুষ! এই ভারতেই। যে চাকরিটা ছিল দুর্মূল্য, সেই চাকরিটাই কেন ছাড়ার জন্য মানুষ এত উতলা হয়ে ওঠে! চাপ। কর্মজীবনের চাপটাই আর নিতে ভালো লাগে না, চাকুরিজীবীদের। এমনটাই বলছেন, সমাজতাত্ত্বিকরা।
একটি সমীক্ষার পর জানা যাচ্ছে, ৪৫ বছর বয়স হয়ে গেলেই দেশের ৬১ শতাংশ চাকুরিজীবীরা তাঁদের চাকরি পরের ৫ বছরের মধ্যেই ছেড়ে দিতে চান। গ্লোবাল ব্যাঙ্ক এইচএসবিসি-র সমীক্ষায় অনুযায়ী এই ৬১ শতাংশ মানুষের মধ্যে ১৪ শতাংশ মানুষই জানিয়েছেন, তাঁরা চান চাকরি থেকে অবসর নিতে ৫০ এর মধ্যেই। কিন্তু সাংসারিক এবং অর্থনৈতিক চাপের জন্যই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কেন ৬১ শতাংশ মানুষ ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই চাকরি থেকে অবসর নিতে চান? এর জবাবে ৪৩ শতাংশ লোকে বলেছেন, যে তাঁরা চাকরির চাপ আর নিতে পারছেন না। বরং, তাঁরা তাঁদের পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে চান।
এই সমীক্ষাটি বিশ্বের ১৭ টা দেশের ১৮ হাজার মানুষের উপর করা হয়েছিল। সেখানে আর্জেন্টিনার ৭৮ শতাংশ মানুষই চান ৫০ বছর বয়সের মধ্যে অবসর নিতে। ফ্রান্সে সেটা ৭৭ শতাংশ, চিনে ৭৫ শতাংশ এবং ব্রিটেনেও ৭৫ শতাংশ।