নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় প্রতিদিনই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের গেটের সামনে গুটি গুটি পায়ে লাঠিতে ভর করে পৌঁছে যান এক বৃদ্ধা। খোঁজ করেন তাঁর মেয়ের। শুরুতে বিষয়টিকে তেমন একটা গুরুত্ব দেননি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তারক্ষী। কারণটা স্বাভাবিক! প্রায় ৮০ বছরের বৃদ্ধার মেয়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়বে কেন? কিন্তু বৃদ্ধাও নাছোড়! মেয়েকে না নিয়ে বাড়ি ফিরবেন না তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর পর কিছুটা বাধ্য হয়েই ওই বৃদ্ধার মেয়ের নাম জানতে চান ওই নিরাপত্তারক্ষী। এখানেও বিপদ! শুধু পদবীটাই মনে আছে, মেয়ের নামই মনে নেই তাঁর। বৃদ্ধার মুখের দিকে তাকিয়ে তা-ও একটা শেষ চেষ্টা করতে নিরাপত্তারক্ষী স্কুল কর্তৃপক্ষকে ওই পদবীটাই জানান। গোটা বিষয়টা শুনে স্কুল কর্তৃপক্ষও চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি। কিন্তু তোলপাড় করে নতুন-পুরনো রেকর্ড ঘেঁটেও কোনও কিনারা করতে পারলেন না তাঁরাও। তাই বাধ্য হয়েই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসেই বৃদ্ধার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে বাড়ি ফেরত পাঠান। আর তখনই জানা যায় আসল ঘটনা!


আরও পড়ুন: মাড়ির ব্যাক্টেরিয়াই দায়ি আলঝেইমার্সের জন্য! দাবি গবেষকদের


দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় এই বৃদ্ধা আলঝেইমার্সে আক্রান্ত। মেয়ের নামও ভুলে গিয়েছেন বহু বছর আগে। শুধু মনে আছে স্কুলের ইউনিফর্ম পড়া মেয়ে সেই ছোট্ট চেহারাটা। আর তাই মাঝে মধ্যেই তিনি মেয়েকে আনতে পৌঁছে যান ওই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের গেটে। আলঝেইমার্স তাঁর স্মৃতি থেকে প্রায় সব কিছুই ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিয়েছে। কিন্তু এখনও মেয়ের ছেলেবেলার স্মৃতিটুকু কোনও মতে আঁকড়ে বেঁচে আছেন ওই বছর চুড়াশির বৃদ্ধা। প্রায় ত্রিশ বছর আগেই স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছে মেয়ে। কিন্তু এখনও মেয়েকে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসা স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে।


আলঝেইমার্সে আক্রান্ত সেই বৃদ্ধা ও তাঁর মেয়ে।

এই গোটা ঘটনাটি চিনের জিয়াংসু প্রদেশের যা এখন রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশের থেকে খবর পেয়ে মায়ের কাছে পৌঁছে মেয়ে যখন জানতে চাইল, “ওই স্কুলে কেন গিয়েছিলে?” উত্তরে বৃদ্ধা বলেন, “তোকে আনতে!”