Ambubachi: চলছে অম্বুবাচী; এই সময়ে এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না!
অম্বুবাচীতে ধরিত্রীমাতা ঋতুমতী হন বলে মনে করা হয়। ফলে এই সময়ে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলার বিধি। এই সব নিয়ম বাড়ি বা মঠ-মন্দির উভয়ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অম্বুবাচীতে ধরিত্রীমাতা ঋতুমতী হন বলে মনে করা হয়। ফলে এই সময়ে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলার বিধি। এই সব নিয়ম বাড়ি বা মঠ-মন্দির উভয়ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
১. অম্বুবাচী চলাকালীন মাটি খোঁড়া উচিত নয়। এই সময়ে বীজ বপণ বা বৃক্ষরোপণেও নিষেধ থাকে। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কৃষিকাজে। এ সময়ে হাল ধরতে নেই।
২. অম্বুবাচীর তিন দিন কোনও রকমের মাঙ্গলিক কাজই করা যায় না। অম্বুবাচীর সময়ে গৃহপ্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা চলে না।
৩. এই সময়ে মঠ-মন্দিরের প্রবেশদ্বার সাধারণত বন্ধ রাখা হয়। একান্ত তা না করা গেলে যদি সেখানে দেবীপূজার ব্যাপার থাকে তবে মূর্তি কাপড়ে ঢেকে রাখাই বিধেয়। যাঁরা বাড়িতে নিত্য মা কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা, চণ্ডী ইত্যাদি শক্তির বিভিন্ন রূপের পুজো করেন তাঁরাও যেন মূর্তি বা পট লাল কাপড়ে ঢেকে রাখেন।
৪. এ সময়ে কোনও বিশেষ পুজোর আয়োজন না করাই শ্রেয়। এ সময়ে বাড়িতে বিধিসম্মত পুজোতেও নিষেধাজ্ঞা থাকে। পুজো একান্ত করতে হলে মন্ত্রোচ্চারণ ছাড়াই তা করুন। ধূপ-দীপ অবশ্য জ্বালাতেই পারেন। এই সময়ে শাঁখ বাজানোও বন্ধ রাখতে হয়।
৫. তবে যাঁরা শাক্তমন্ত্রে বা অন্য কোনও মন্ত্রে দীক্ষিত, তাঁরা অম্বুবাচীর দিনগুলিতে গুরুমন্ত্র জপ করতেই পারেন। জপে দোষ নেই।
৬. অম্বুবাচীর তিনদিন ব্রহ্মচর্য অনুসরণ করার বিধানও কেউ কেউ দেন। মেনে চলতে পারলে ভালো।
৭. এই সময়ে নদীতে স্নান করাও উচিত নয় বলে বলা হয়।
অম্বুবাচীর চতুর্থ দিন থেকে সমস্ত নিয়মের কড়াকড়ির অবসান।
আরও পড়ুন: Long Covid: পুরুষ ও মহিলার মধ্যে লং কোভিডে কারা বেশি ভোগে জানেন?