মধ্যম পান্ডবের মহিমা
ভারতীয় ফ্যাশন জগতকে নিজের অননুকরণীয় `টাশন` ইতিমধ্যেই উপহার দিয়েছেন অর্জুন সালুজা। সুদূর ফিলাডেলফিয়ার `কলেজ অফ টেক্সটাইল এন্ড সায়েন্স ফ্যাশন`-এর স্নাতক অর্জুন তৈরি করেছেন একেবারে নিজের হটকে ঘরানা। ১৯৯৮ সালে বিদেশ থেকে স্বদেশে ফিরে আসেন এই দিল্লিবাসী।
ভারতীয় ফ্যাশন জগতকে নিজের অননুকরণীয় `টাশন` ইতিমধ্যেই উপহার দিয়েছেন অর্জুন সালুজা। সুদূর ফিলাডেলফিয়ার `কলেজ অফ টেক্সটাইল এন্ড সায়েন্স ফ্যাশন`-এর স্নাতক অর্জুন তৈরি করেছেন একেবারে নিজের হটকে ঘরানা। ১৯৯৮ সালে বিদেশ থেকে স্বদেশে ফিরে আসেন এই দিল্লিবাসী। এই সময় আত্মপ্রকাশ করে অর্জুনের প্রথম ক্রিয়েশন। নিজের সৃষ্টি সুখের উল্লাসকে সঙ্গী করে পরের বছরের শেষের দিকে তিনি আবার মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন। ফ্যাশন সচেতন নিউইয়র্ক বাসী অর্জুনের হাত ধরে নতুন করে স্বাদ পায় অনন্য ভারতীয় ফ্যাশন সংস্কৃতির। যে সময় অর্জুন ওদেশে এদেশীয় পোষাক-আষাকের ঝুলি উপুর করে দিচ্ছিলেন তখনও কিন্তু বিশ্বের দরবারে ভারতীয় ফ্যাশন এত কেতাদুরস্ত হয়ে ওঠেনি। আর এখানেই নিজের সমসাময়িকদের থেকে বেশ কয়েক ল্যাপ এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
কেরিয়ারের প্রথম থেকেই অর্জুনের সৃষ্টির দল জায়গা করে নিয়েছিল `হেনরি বেন্ডেল`, `অ্যানথ্রোপোলোজি`, বার্নেটস জাপানের মত হাইফাই ফ্যাশন স্টোরগুলোতে। তাঁর পোষাক স্বদর্পে ঠাঁই খুজে পেয়েছিল `টুটসিস`-র মত বুটিকে। ২০০৫ সালে দিল্লি ফিরে এসে অর্জুন তৈরি করেন নিজস্ব লেবেল `রিস্তা`। দিল্লি থেকে নিউইয়র্ক হয়ে আবার দিল্লিতে ফিরে আসা- এই সময়ের সফর আর বিবিধ সম্পর্ক থেকে অর্জুন খুঁজে পেয়েছিলেন `রিস্তা`-র অনুপ্রেরণা। তাঁর নিজের মতে `রিস্তা` আসলে সেই সমস্ত মহিলাদের জন্য যাঁরা নিজেরা নিজেদের ভিন্ন স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করেন। প্রকৃতি তাঁর সৃষ্টির উৎস। ষাটের দশকের ট্র্যাডিশনাল সেলাই-বোনাইয়ের সঙ্গে আজকের ফাঙ্কি স্টাইলের অভিনব মেলবন্ধন ফুটে ওঠে `রিস্তা`-র প্রতিটি পোষাকে। ` হিপি ফ্রম মানালি` লুকে অর্জুন সাজিয়ে তোলেন তাঁর ক্রেতাদের।
২০০৬ তে এল ম্যাগাজিনের বিচারে `হটেস্ট ডিজাইনার অফ দ্য ইয়ার` নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালের ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে `রিস্তা` ছিনিয়ে নেয় সব থেকে বৈচিত্র্য পূর্ণ কালেকশনের উপাধি। ফ্যাব্রিকস আর রঙ নিয়ে সব সময় গবেষণায় মত্ত থাকেন অর্জুন। মিক্স এন্ড ম্যাচ পোষাকের ক্ষেত্রে তিনি অন্যতম ট্রেন্ড সেটার। তাঁর পোষাকে সবসময় মেলে ভবিষ্যতের ফ্যাশনের সুলুক সন্ধান ।