ওয়েব ডেস্ক: এমন অনেক গবেষণাই আধুনিক বিশ্ব আবিষ্কার করেছে যেখানে দুধের থেকেও বেশি গুণ মিলেছে বিয়ারে। এমনিতে অ্যালকোহল যে মনুষ্য শরীরের জন্য ক্ষতিকারক তা আর নতুন করে বলে দিতে হয় না। বিয়ারের ছিপি খুলে প্রথম অ্যালকোহলের স্বাদ নেওয়া ৮ বছরের খুদে কিংবা একেবারে মদিরা সেবনে মাস্টার ৮০ বছরের বৃদ্ধ, সবাই জানেন মদ মৃত্যুর কারণ। পাড়ার দেওয়ালে দেওয়ালে এই বিজ্ঞাপনও তো সবার নখ দর্পনেও রয়েছে, 'গোপনে মদ ছাড়ান'। অনেক বাড়ির অভিবাকদের কাছে মদ্যপান তো মার্ডার করার মত সমান অন্যায়ের। অবশ্য এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে, 'ফ্যামিলি ড্রিংকিং' সভ্য এবং আধুনিক সমাজের একটা উল্লেখযোগ্য পার্ট। তবে এমনটা সংখ্যায় খুবই কম। কিন্তু বিয়ার নিয়ে নতুন যে গবেষণা সামনে এসেছে তার পর হয়ত এমনটা হবে, 'ব্রেনোলিয়া' নয় বুদ্ধি বাড়াতে প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে ফ্রিজ 'যানজট' তৈরি করবে সারি সারি বিয়ার ক্যান। বিয়ার খেলে বুদ্ধি বাড়ে। হ্যাঁ, নতুন গবেষণা তাই বলেছে।
এমনিতে মদ শরীরের উত্তেজনাকে প্রশমিত করে, কিন্তু আধুনিক গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিয়ার নাকি 'কগনিটিভ ক্রিয়া'কে বাড়িয়ে দেয়। মস্তিষ্কের আচরণ নিয়ে যে গবেষণা বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে, সেখানে দেখা গিয়েছে বিয়ারে থাকা 'Xanthohumol'-নামক বিষয়টি আদতে মস্তিষ্কের বিকাশের সহায়ক। গবেষণায় এও দাবি করা হয়েছে, বিয়ার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নবীন প্রাণদের বুদ্ধিগত বিকাশ ঘটায়। বিয়ারে তুলনায় কম বিকাশ হয় প্রাপ্ত বয়স্ক মস্তিষ্কের। 'Xanthohumol'-এর মতই 'ফ্ল্যাভোনয়েড' নামক একটি বিষয় যা রেড ওইয়ানে পাওয়া যায় সেটাও নাকি মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা নেয়, মত গবেষকদের।
'স্নোব্রেইনস' নামের একটি ওয়েব পোর্টালের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, 'বিয়ার যে কেবল বুদ্ধির বিকাশ করে, তা নয়, আছে আরও গুণ'।
১. বিয়ার হাড় শক্ত করে।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক পানীয় হল বিয়ার।
৩. ডায়েবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে বিয়ার খেলে।
৪. হার্ভাড স্কুল অব পাবলিক হেলথ একটি গবেষণাতে আবিষ্কার করেছে বিয়ার স্ট্রোকের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
৫. 'হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস', যা ক্যানসারের অন্যতম উপাদান, বিয়ার সেই 'হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস'-এর প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
বিয়ার খেলে বুদ্ধি বাড়ে!