জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'মোকা' নিয়ে হইহই হচ্ছে। প্রতিটি ঝড়কে আসলে আলাদা করে চিনে নেওয়ার জন্য এই নামকরণের নিয়ম। একটা নাম থাকলে সেটা নিয়ে খবরাখবর করতেও যেমন সুবিধা হয়, তেমনই সুবিধা হয় আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেট যথাযথ ভাবে দেওয়া। আর সাধারণ মানুষের তো বিপুল সুবিধা। একই এলাকায় পর পর দুটি ঝড় হলে সেক্ষেত্রেও দুটিকে আলাদা করতে নামকরণ খুবই জরুরি। 

 

নাম হতে হবে ছোট, শ্রুতিসুখকর, সহজে উচ্চারণ করা সুবিধাজনক। একটি প্যানেল আছে যারা ঝড়ের নাম চূড়ান্ত করে। তবে বিভিন্ন দেশ নাম পাঠাতে পারে। নাম পাঠায়। তারপর সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

 


 

বিশ্ব জুড়ে কতগুলি 'রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটিওরোলজিক্যাল সেন্টার' বা 'আরএসএমসি' এবং 'ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার' বা 'টিসিডাব্লিউসি' রয়েছে। এরাই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ঝড়ের নাম ঠিক করার ক্ষমতার অধিকারী। ভারতে নয়া দিল্লিতে যে আবহাওয়া দফতর আছে তারাই 'নর্থ ইন্ডিয়ান ওশেন রিজিয়নে', মানে, আরব সাগর বা বঙ্গোপসাগরে যে ঝড় ঘটে তার নামকরণের দায়িত্বে।  

 


 

মোকার পরে আরও ৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম এর মধ্যেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। এর ঠিক পরের ঝড়টির নাম বাংলায় দেওয়া হয়েছে। দিয়েছে বাংলাদেশ। নাম 'বিপর্যয়'। তার পরের ঝড়টির নাম 'তেজ'। নাম দিয়েছে ভারত। এর পরেরটি 'হামুন'। ইরানের দেওয়া নাম। তার পরেরটি মালদ্বীপের দেওয়া-- 'মিধিলি'। এর পরেরটি মায়ানমারের দেওয়া-- 'মিকাউং'। এর পরে আসছে 'রেমল', নাম দিয়েছে ওমান। তার পরেরটি পাকিস্তানের দেওয়া। নাম-- 'আসনা'। শেষ দুটি ঝড় যথাক্রমে 'ডানা' ও 'ফেংগল'-- নামকরণ করেছে যথাক্রমে কাতার ও সৌদি আরব।  

 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)