দুটো হাত নেই, তবু মাকে ভালবাসার হাত বাড়িয়ে 'ভাইরাল' মাতৃভক্তি
গোটা বিশ্বে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের শহর কলকাতায় বৃদ্ধাশ্রমে গেলে অনেক বৃদ্ধাকেই দেখতে পাওয়া যাবে, যাদের ছেলেরা তাদের ত্যাগ করেছেন। এমন এক যুগে বাস করে শুনুন এমন এক ছেলের কথা যে তাঁর মায়ের প্রতি ভালবাসাকে আলাদা একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: গোটা বিশ্বে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের শহর কলকাতায় বৃদ্ধাশ্রমে গেলে অনেক বৃদ্ধাকেই দেখতে পাওয়া যাবে, যাদের ছেলেরা তাদের ত্যাগ করেছেন। এমন এক যুগে বাস করে শুনুন এমন এক ছেলের কথা যে তাঁর মায়ের প্রতি ভালবাসাকে আলাদা একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
ওর নাম চেন ঝেনগিং, দক্ষিণ পশ্চিম চিনের বাসিন্দা। ওর দুটো হাত নেই। ওর যখন সাত বছর বয়স তখন বড় ধরনের ইলেকট্রিক শক খেয়ে ওর দুটো হাতই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চেনের মা গত বছর জুলাই থেকে প্যারালাইস হওয়ার পর থেকে শরীর নাড়াতে পারে না। এর আগেই ৪৮ বছরের দু হাত হীন চেন আর তার মা-কে ছেড়ে চলে গিয়েছে তার দাদ-বোনেরা। ২৮ বছর আগে চেনের বাবাও মারা গিয়েছেন। চেন কিন্তু মায়ের ভালবাসা ছেড়ে কোথাও যায়নি। মা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার পর আর কিছুই করতে পারেন না। চেন মা-কে খাইয়ে দেয়, স্নান করিয়ে দেয়, ঘুম পাড়িয়ে দেয়। দুটো হাত নেই বলে কাজগুলো চেনের কাছে খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তাতে কী! কথায় আছে না ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। ভালবাসা থাকলে সব কঠিন কাজকে সহজ করে দেয়। চেন মা-কে খাইয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করে দাঁত আর ঠোঁট, স্নান করানোর জন্য ব্যবহার করে পা, খাওয়ার তৈরির জন্য ব্যবহার করে পা।
চেনের এই মাতৃস্নেহ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। সবাই চেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। চেন বলছেন, শীতের সময়টাতেই বেশি কষ্ট হয়। কারণ হাত নেই বলে মোজা পরতে সে এখনও পারে না। ওর চিন্তায় এখনই এটা শিখে ফেলতে না পারলে আসছে শীতে তার মা-কে মোজা পরাতে সে পারবে না। তাই চেন এখন পা দিয়ে মোজা পরার কৌশলটা নিয়ে খুব ব্যস্ত। শীত আসছে, মা-কে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচাতেই হবে।
আমাদের যাদের দুটো হাত আছে, তবু যারা মা-বাবাকে ছেড়ে পালাই, তাদের একটা দারুণ শিক্ষা দিল চেন।