এই ৫ কৌশলে কিছু অসাধু পেট্রোল পাম্প ক্রেতাদের ঠকায়! জেনে রাখুন, সতর্ক থাকুন

তেল চুরির কয়েকটি কৌশল সম্পর্কে অবগত থাকলে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকিটা কম থাকে। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Aug 20, 2020, 06:06 PM IST
এই ৫ কৌশলে কিছু অসাধু পেট্রোল পাম্প ক্রেতাদের ঠকায়! জেনে রাখুন, সতর্ক থাকুন
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: পেট্রোল, ডিজেলের দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আকাশছোঁয়া তেলের দাম প্রভাব ফেলছে মধ্যবিত্তদের ভাঁড়ারেও। কারণ, পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়লে তার প্রভাবে দাম বাড়ে শাক-সবজি, চাল, ডাল, মশলাপাতিতেও। এর পরেও কিছু অসাধু পেট্রোল পাম্প কর্মচারি ও মালিকের জন্য যদি দাম দিয়েও সঠিক পরিমাণ তেল না পান, তাহলে কার মাথার ঠিক থাকে! তবে কী ভাবে অসাধু পেট্রোল পাম্পগুলি তেল চুরি করছে, তা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তবে পেট্রোল পাম্পগুলির তেল চুরির কয়েকটি কৌশল সম্পর্কে অবগত থাকলে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকিটা কম থাকে। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...

১) ধরুন আপনি ৫০০ টাকার তেল ভরাবেন বললেন, তখন পেট্রোল পাম্পের কর্মচারি আপনার কথা না শোনার ভান করে ২০০ টাকায় বন্ধ করে দিল। আপনি যখন বলবেন, ‘আমি তো ৫০০ টাকার ভরবো বলেছি’, তখন সে আবার মিটারে ২০০ টাকার তেলের রিডিং ডিলিট না করেই তাতে ৩০০ টাকা এন্টার করে আপনার বাইক বা গাড়িতে তেল ভরে দেবে। এটা দেখে মনে হতেই পারে যে , আপনাকে মোট ৫০০ (২০০ + ৩০০) টাকার তেলই ভরা হয়েছে। কিন্তু এটাই একটা কারসাজি! আপনার সঙ্গে এমন হলে পেট্রোল পাম্পের কর্মচারিকে বলুন মিটার রিডিং নতুন করে শুরু করে ৩০০ টাকার তেন ফের দিতে।

২) অনেক অসাধু পেট্রোল পাম্প মালিক প্রয়োজনের তুলনায় অধিক লম্বা পাইপের ব্যবহার করে থাকেন তেল ভরার জন্য। তেল ভরার সময়, নিখুঁত মিটার রিডিংকেও ফাঁকি দিয়ে ক্রেতাকে কম তেল দিয়ে ঠকানো সম্ভব। কারণ, মিটারে যদি দেখায় যে, ১ লিটার তেল দেওয়া হয়ে গিয়েছে সে ক্ষেত্রে তখনও বেশ কিছুটা তেল ওই লম্বা পাইপেই থেকে যায়। ১ লিটারে ৫০-৬০ মিলিলিটার তেল কম দিলে কেউ খেয়ালও করবে না। তবে এমনটা সারাদিনে ১০০ জনের সঙ্গে হলে ওই পেট্রোল পাম্প মোট কত লিটার তেল চুরি করল ভেবে দেখেছেন? তাই ১২০ টাকা, ১৩৫ টাকা বা ১.৪৫ লিটার বা ৩.৫৬ লিটার— এমন হিসাবে তেল ভরানোর চেষ্টা করুন।

৩) যদি দেখেন, কর্মচারী বারবার ফিলিং পাইপের সুইচ নামিয়ে ফেলছে, সেটাকে অবহেলা করবেন না। এইভাবে বারবার অফ হয়ে যাওয়ার ফলে আপনি আপনার ন্যায্য মূল্যের তেল পাবেন না। মিটার রিডিং-এ এই সব কারচুপি ধরা পড়ে না। তাই তেল নেওয়ার সময় কর্মচারীকে বলবেন সে যেন ট্যাংকে পাইপ ঢোকানোর সময়েই ফিলিং পাইপ অন করে।

আরও পড়ুন: Google-এ চাকরি ছেড়ে খুলেছিলেন সিঙ্গারার দোকান! যুবক এখন কোটিপতি

৪) অসাধু পেট্রোল পাম্পে অনেক সময় চিপ লাগিয়েও চুরি করে তেল। মিটারের সঙ্গে ইলেকট্রনিক চিপ লাগিয়ে মিটারের রিডিং ইচ্ছে মতো বাড়িয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু তেল সেই পরিমান ট্যাঙ্কে পড়ে না। তাই যদি কখনও মনে সন্দেহ দানা বাঁধে তাহলে দুটি ১ লিটারের জলের বোতল নিয়ে তাতে তেল ভরে নিয়ে আসুন।

৫) কিছু অসাধু পেট্রোল পাম্প মালিক অনেক ক্ষেত্রে পেট্রোলের সঙ্গে ন্যাপথা (যা পেট্রোলেরই উপজাত দ্রব্য) মিশিয়ে ক্রেতাকে ভেজাল তেল দিয়ে ঠকান। ন্যাপথা আর পেট্রোলের ঘনত্ব একই রকম হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই কারসাজি ধরা পড়ে না।

.