অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে অসীম সাহসে বাঁচিয়েছেন বন্দিদের, সামলেছেন অশান্তি! কে এই IPS?
হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল বৈজর মুখেও মমতার প্রশংসা৷ মন্দিরে বন্দি কয়েক হাজার মানুষ এই খবর এবং লোকেশন পেতেই আইপিএস মমতা সিং নির্ভীকভাবে পুলিস বাহিনীর নেতৃত্ব দেন এবং সফলভাবে বন্দিদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাহসিকতায় তিনি 'লেডি সিংঘম'-এমনটাই বলছেন এখন সকলে। একটি ধর্মীয় যাত্রায় অশান্তি ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় হরিয়ানায়। বেড়েই চলেছিল অশান্তির আগুন। কিন্তু সেই শিখা নেভানোর দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার মমতা সিংয়ের দুর্দমনীয় কার্যকলাপই এখন লোকমুখে। যদিও এটি কোনও প্রথম 'সাহসী পদক্ষেপ' নয়৷ মমতার নির্ভীক কাজের দৌলতে পুলিস বিভাগ যেমন সম্মানিত হয়েছে তেমন তিনি নিজেও অসংখ্য প্রশংসা অর্জন করেছেন।
নুহ জেলায় অশান্তি যেভাবে কড়া হাতে দমন করেছেন এরপর তার নাম এখন লোকের মুখে মুখে। এমনকী হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল বৈজর মুখেও মমতার প্রশংসা৷ মন্দিরে বন্দি কয়েক হাজার মানুষ এই খবর এবং লোকেশন পেতেই আইপিএস মমতা সিং নির্ভীকভাবে পুলিস বাহিনীর নেতৃত্ব দেন এবং সফলভাবে বন্দিদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে যেভাবে এই কজা করেছেন তিনি, তাকে কুর্নিশ জানিয়েছে সকলেই।
যদিও শুনলে অবাক হতে হয়, জীবনে পুলিস হওয়ার স্বপ্ন কোনওদিনই দেখেননি মমতা সিং। বরং চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই মতো পড়াশুনোও করতেন। সাহসী প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজ সেবা করার দিকেই ঝোঁক ছিল তার। পরে একাধিক পরীক্ষা দিতে দিতে তিনি পুলিসে চাকরি পেয়ে যান। ১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার মমতা সিং এখন অবশ্য জাঁদরেল অফিসার৷ পুলিস বিভাগে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, প্রশংসা ও সম্মান অর্জন করেছেন।
নির্ভীকতা এবং সাহসী কাজকর্মের জন্য ২০২২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে আইপিএস অফিসার মমতা সিংকে। অপরাধ মোকাবিলা এবং মাফিয়া অপারেশনগুলি ধ্বংস করার জন্য একটি কার্যকর গোপন নেটওয়ার্কও তৈরি করেন তিনি। যেই পথ আজও অনুকরণ করা হয় অনেকক্ষেত্রে৷ নন্দীগ্রাম (পশ্চিমবঙ্গ), সুকমা, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর, বক্সারে অপারেশন চলাকালীন তাঁর প্রচেষ্টা বিশেষভাবে উল্লেখ্য। সুপ্রিম কোর্টও আইপিএস মমতা সিংয়ের ব্যতিক্রমী কাজের প্রশংসা করেছে। পুলিশ সার্ভিসে যোগদানের পর, মমতা সিং মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।