পুরুষ শুয়োর আর স্ত্রী শিম্পাঞ্জির মিলনের ফলেই পৃথিবীতে এসেছিল মানুষ!
এক পুরুষ শুয়োর ও এক স্ত্রী শিম্পাঞ্জির মিলনের মাধ্যমেই নাকি পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিল মানুষ! জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেসিস্ট ইউজিন ম্যাকার্থি এই রকম দাবিই করেছেন। পশুদের সংকরায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বজোড়া নাম এই বিজ্ঞানীর।
এক পুরুষ শুয়োর ও এক স্ত্রী শিম্পাঞ্জির মিলনের মাধ্যমেই নাকি পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিল মানুষ! জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেসিস্ট ইউজিন ম্যাকার্থি এই রকম দাবিই করেছেন। পশুদের সংকরায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বজোড়া নাম এই বিজ্ঞানীর।
নিজের দাবির সপক্ষে যুক্তি দিয়ে ম্যাকার্থি জানিয়েছেন শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গে মানুষের বহু মিল পাওয়া যায়। আবার অমিলের সংখ্যাটাও নগণ্য নয়। আর অন্য কোনও প্রাইমেটের সঙ্গে মানুষের একই সঙ্গে এত মিল ও অমিল দেখতে পাওয়া যায় না। ম্যাকার্থির দাবি মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে এই তারতম্যমূলক বৈশিষ্ট্য আসলে একপ্রকার সংকরায়নের ফলেই তৈরি হয়েছে।
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন একটি নির্দিষ্ট প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য প্রাইমেটস আত্মীয়দের থেকে মানুষকে আলাদা করেছে। এবং ম্যাকার্থির মতে সেই প্রাণীটি নাকি শুয়োর!
নিজের চমকপ্রদ হাইপোথিসিসকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, শিম্পাঞ্জির সঙ্গে মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্যের প্রচুর মিল থাকলেও শারীরিক বৈশিষ্ট্যের প্রচুর অমিল। এই শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলিই প্রাণী জগতে শিম্পাঞ্জিকে দুটি পৃথক প্রজাতি রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আর এই খানেই তিনি এনেছেন শুয়োরের প্রসঙ্গ।
তুলনামূলক লোমহীন চামড়া, চামড়ার নীচে সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাটের আস্তরণ, হালকা রঙের চোখ, বেড়িয়ে আসা নাক, ঘন চোখের পাতা মানুষের এই সব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলি ম্যাকার্থির মতে অব্যর্থভাবে শুয়োরের মতই। অর্থাৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে যে যে জায়গায় শিমাঞ্জির সঙ্গে মানুষের অমিল পাওয়া যায়, ঠিক ঠিক সেই সেই ক্ষেত্রে শুয়োরের সঙ্গে মানুষের প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। আর এই খানেই তিনি এনেছেন তাঁর সংকরায়নের হাইপোথিসিস নিয়ে এসেছেন। এই বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে ম্যাকার্থির দাবি শুয়োর ও শিম্পাঞ্জির সংরায়নের ফলেই পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে।
শুধু তাই নয়, তাঁর মতে শুয়োরের চামড়ার কোষ ও হার্ট ভালভের চিকিৎসার জন্য মানুষের শরীরে ব্যবহারই তাঁর হাইপোথিসিসকে সত্যি প্রমাণিত করে।
ম্যাকার্থি তাঁর পেপারে জানিয়েছেন সম্ভবত এই শুয়োর আর শিম্পাঞ্জির মিলননের পর বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরেই চলেছে `ব্যাকক্রসিং`-ও। এই পুরুষ শুয়োর আর স্ত্রী শিম্পাঞ্জির মধ্যে মিলনের ফলে যে নতুন যে হাইব্রিড সন্তান জন্ম নিয়েছিল সে শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গেই থাকত। সেই সন্তানের সঙ্গে বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে শিম্পাঞ্জিদের ব্যাকক্রসিং-ও চলেছে। এর ফলে প্রত্যেক প্রজন্মে জন্ম নেওয়া সন্তানদের মধ্যে জিনগত ভাবে শিম্পাঞ্জিদের বৈশিষ্ট্য প্রকট হয়েছে। এবং এর সঙ্গেই শুয়োরের সঙ্গে তাদের জিনগত বৈশিষ্ট্যের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এই ভাবে বেশ কয়েক প্রজন্ম চলার পর নতুন প্রজাতির যে প্রাণী সৃষ্টি হয়েছে তারা নিজেদের মধ্যে ধীরে ধীরে জননে সক্ষম হয়েছে। এবং তাদের থেকেই এসেছে আধুনিক মানুষ।