ফোনের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েকে স্মার্ট বানানোর চক্করে পস্তাছেন অভিভাবকরা

মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ছাড়া এক পা-ও চলতে পারি না আমরা। আমাদের ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়েছে এই দুটি জিনিস। বাচ্চা থেকে বড় সকলের কাছেই খুবই জনপ্রিয় মোবাইল ফোন।

Updated By: Nov 19, 2015, 06:48 PM IST
ফোনের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েকে স্মার্ট বানানোর চক্করে পস্তাছেন অভিভাবকরা

ওয়েব ডেস্ক: মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ছাড়া এক পা-ও চলতে পারি না আমরা। আমাদের ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়েছে এই দুটি জিনিস। বাচ্চা থেকে বড় সকলের কাছেই খুবই জনপ্রিয় মোবাইল ফোন।

বাবা-মায়েরা নিজের ছেলে-মেয়েদের স্মার্ট বানানোর চেষ্টায় এখন খুব ব্যস্ত। তাই ছোট থেকেই তাদের হাতে চলে যাচ্ছে মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাবলেট। এরপর আস্তে আস্তে তাদের অবসর কাটানোর একমাত্র মাধ্যমও হয়ে উঠেছে এই গ্যাজেটগুলি। তাদের স্মার্ট বানানোর জন্য স্কুলগুলিতে একটি ক্লাস রাখা হয় মোবাইল ফোনের। যেখানে তাদের মোবাইল ফোন অপারেট করে খেলতে শেখানো হয়।

বাচ্চারা স্মার্ট হলেও বেশি ফোন ব্যাবহারের জন্য রীতিমত কাপালে ভাঁজ পড়ে যায় বাবা-মায়েদের। কারণ ছোট থেকেই অবসরের সঙ্গী হিসেবে বেচে নেয় ফোনকে। তাই তাদের বড় হওয়ার পরেই ফোনের প্রতি আসক্তি জন্মে যায় তাদের। তাই ঠিক ভুলের কোনও রকম বিচার না করেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে যা খুশি করে তারা।

ফোনের ব্যবহারের জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিও তাদের কাছে চলে আসে অনেক সহজে। যে কোনও রকমের ভুল কাজ করতেও পিছপা হয়না তারা। বয়ঃসন্ধির সময় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি তাদের কাছে হয়ে ওঠে রঙিন জীবন। এই রঙিন জীবনের মধ্যে পা রেখে প্রচুর খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে তারা। পরিচিত থেকে অপরিচিত সমস্ত ধরনের ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তারা। তা থেকেই কেউ কেউ খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ভিডিও চ্যাট থেকে শুরু করে অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে ডেট, সবই চলে তাদের রঙিন দুনিয়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে দুনিয়া রঙের বদলে হয়ে ওঠে শুধুমাত্র কালো।

এছাড়া ফোন বেশি মাত্রায় ব্যবহারের ফলে বাড়ির মানুষের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয়ে যায় অনেক বেশি। অপরদিকে বেশি ফোন ব্যবহারের জন্য ক্লান্তি চলে আসে তাদের শরীরে। যার থেকে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন ব্যাধির। ছেলে-মেয়েকে স্মার্ট বানানোর চক্করে শেষ পর্যন্ত পস্তাতে হয় বাবা-মাকেই। তাই ছোট থেকে মোবাইল ফোনকে তাদের অবসর কাটানোর বস্তু না বানিয়ে বাচ্চাকে সময় দিন, তাহলে ভবিষ্যতে গিয়ে পস্তাতে হবে না বাবা-মাকে। 

.