উইক এন্ডে ঘুরে আসুন বাংলার ‘ফুলের উপত্যকা’ ক্ষীরাই-এ
বিঘার পর বিঘা জুড়ে ছড়িয়ে নানা রঙের লক্ষ লক্ষ বাহারি ফুল। ঘরের কাছেই রয়েছে বাংলার ‘ফুলের উপত্যকা’ ক্ষীরাই...
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছোটবেলায় হিন্দি ছবিতে নায়ক-নায়িকাদের ফুলের বাগানের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ছুটে বেড়াতে দেখা যেত। চার পাশে ফুলে ফুলে ভরা। আর এতটা বড় এলাকা জুড়ে ওই ফুলের বাগান যেন ফুরোতেই চায় না! তাই প্রায় মিনিট খানেক ধরে ‘স্লো মোশান’-এ দৌড়ানের ছবির নায়ক-নায়িকা। আর তাতেই কেটে যেত গানের কয়েকটা লাইন।
ফুলের বাগান দেখতে অনেকেই ছোটেন কাশ্মীর কিংবা সিকিম। কিন্তু জানেন কি ঘরের কাছে বাংলাতেই রয়েছে বাহারি ফুলের বাগান! বিঘার পর বিঘা জুড়ে ছড়িয়ে নানা রঙের লক্ষ লক্ষ বাহারি ফুল। ঘরের কাছেই রয়েছে বাংলার ‘ফুলের উপত্যকা’ ক্ষীরাই।
ক্ষীরাই আসলে একটি নদীর নাম আর সেই নদীর নামেই গ্রামের নামকরণ হয়েছে। এটা যেন এক রূপকথার দেশ ,আঁকা ছবির মতন রঙিন ও সুন্দর। তবে এখানে হয়তো পাবেন না তুষারাবৃত পাহাড়ি সুবাস। তবে পাবেন বাংলার নির্ভেজাল স্বাদ ও নদী-ঘর-মাঠ-মানুষ নিয়ে ভরা প্রকৃত 'বাংলার মুখ'। এ সব কিছুর মাঝে আপনাকে যা টানবে, তা হল হাজারো ফুলের প্রাণ খোলা দোলা। দেখে মনে হবে যেন, নানা রঙে ঢেউ বইছে বিঘার পর বিঘা জুড়ে!
আরও পড়ুন: কী করে বুঝবেন প্রেমে পরেছেন? এই বিষয়গুলি লক্ষ্য করুন
দুর্গা পুজোর পরেই কাঁসাই ও ক্ষীরাই নদীর ডান ও বাঁ দিকে মাইলের পর মাইল ক্ষেত জুড়ে বসানো হয় চারাগাছ, যা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ পর্যন্ত নানা রঙের গালিচায় ভরে ওঠে। কী নেই সেখানে? গাঁদা, গোলাপ, আষ্টার, চন্দ্রমল্লিকা, মোরগঝুঁটি এবং আরও কত নাম না জানা ফুল। মাঠের পরে মাঠ ফুলের গালিচায় ঢাকা। ফুল তো অবশ্যই প্রধান আকর্ষণ, তাছাড়াও আছে নানা পাখি প্রজাপতি ফড়িং আর পোকামাকড়। সবটা মিলিয়ে বলা যেতে পারে এই সময় প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধে ভরিয়ে রাখে ক্ষীরাই উপত্যকাকে।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে খড়গপুর বা মেদিনীপুর গামী ট্রেন ধরে পাঁশকুড়ার পরের স্টেশন ক্ষীরাই। সময় লাগে ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট মতন।ক্ষীরাই স্টেশনে নেমে তিন নম্বর লাইন ধরে বরাবর পাঁশকুড়ার দিকে প্রায় ২০ মিনিট মতো হেঁটে সরু মাটির রাস্তা বরাবর কিছুদূর যাওয়ার পর পড়বে কসাই নদীর দুদিকেই ফুলে ফুলে ভরা ক্ষীরাই।
তাহলে দেরী না করে এই শীত থাকতেই ঘুরে আসুন ক্ষীরাই যা আপনার মন ভোলাতে বাধ্য।