World No Tobacco Day: সঙ্গমের আগে বা পরে ধূমপান! লিঙ্গোত্থানে বা অর্গাজমে কোনও ম্যাজিক ঘটে?
Tobacco Use and Sexual Health: আজও ধূমপান এক স্বাভাবিক অভ্যেস হিসেবেই বিবেচিত। এবং এখনকার সমাজে ধূমপানের অভ্যেস আর শুধু পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিপুল সংখ্যায় মহিলারাও এখন ধূমপায়ী। ধূমপানের পরিসর যেমন বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ক্ষতির বহরও। কিন্তু সিগারেট যৌনজীবনে ঠিক কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সেটা এখনও তত চর্চিত নয়, এমনকি বিষয়টিকে `আন্ডারএস্টিমেট`ই করা হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বহু প্রচার বহু সচেতনতামূলক চর্চার পরেও আজও ধূমপান এক স্বাভাবিক অভ্যেস হিসেবেই বিবেচিত হয়। এবং এখনকার সমাজে ধূমপানের অভ্যেস আর শুধু পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিপুল সংখ্যায় মহিলারাও এখন ধূমপান করেন। ফলে ধূমপানের পরিসর এখন আগের চেয়ে বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে ক্ষতির বহরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: Nutritional Value of Mulberry: আপনার হাতের কাছের চেনা এই গাছেই ক্যানসারমুক্তির উপায়...
ধূমপানের ফলে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ ঢোকে। আর এখন এটা সবাই জেনে গিয়েছে, পরোক্ষ ধূমপানেও শরীরের প্রবল ক্ষতি হয়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় রক্ত সংবহনতন্ত্রেরও। এছাড়াও ধূমপান যৌনজীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে৷ ফেলেও। যা সামগ্রিক অর্থে যথেষ্ট ক্ষতিকর। অনেকেরই আবার সঙ্গমের ঠিক পরেই একটা সিগারেট ধরানোর অভ্যাস থাকে। তাঁদের যুক্তি, মিলন তো সাঙ্গ, এখন তামাকসেবন করা যেতেই পারে। ব্যাপারটা কিন্তু এত সরল নয়। এতেও যৌনজীবনে প্রভাব পড়ে। পরবর্তী মিলনের প্রতি অনীহা তৈরি করে দিতে পারে একটা সিগারেট!
আরও পড়ুন: Next Deadly Pandemic: X=Prem নয়, এখন X=Disease! আসতে পারে নতুন ভয়ংকর এক রোগ...
যৌনমিলনের আগে পুরুষের লিঙ্গোত্থান মাস্ট। নারীর অর্গাজম তৈরি হওয়াটাও জরুরি। কিন্তু যেসব পুরুষ বা নারী ধূমপায়ী তাঁদের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই দেখা যায়, মিলনের ঠিক আগে শরীরে মিলোন্মুখতার সমস্ত লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে না। পুরুষের লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান ঘটছে না। মানে ধূমপায়ী পুরুষেরা ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে ধূমপায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রেও তাঁদের শরীরে-মনে প্রয়োজনীয় যৌন-আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠছে না। উত্থান ঘটলেও বা যৌন-আকাঙ্ক্ষা জাগলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। ফলে পরিপূর্ণ যৌনমিলন সম্ভব হচ্ছে না। যৌনমিলনের মধ্যে দিয়ে আসছে না সেই সুখতৃপ্তি। যা আদতে এই প্রজন্মের সেক্সুয়াল হেলথের উপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কী রকম প্রভাব?
অতিরিক্ত ধূমপানে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়, যৌনাঙ্গের চারপাশে পর্যাপ্ত রক্তসংবহন হয় না। এর জেরেই পুরুষদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশন ঘটে এবং মেয়েদের মধ্যে অর্গাজমের মাত্রা কমে বা পর্যাপ্ত লুব্রিকেশন হয় না। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান ফার্টিলিটি রেটের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যা ক্রমে ডেকে আনে বন্ধ্যাত্ব। তামাক সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশনের জন্যও দায়ী হয়।
অতএব, যেসব দম্পতি বা নারীপুরুষ সুস্থ সুন্দর উষ্ণ উজ্জ্বল যৌনজীবন উপভোগ করতে চান, তাঁরা ধূমপায়ী হলে, অচিরেই সে অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।