মঙ্গলে কোথায় গেল জল? উত্তর খুঁজতে মহাকাশের পথে নাসার মাভেন
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল ও জলবায়ু পরীক্ষা করে জলের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেই জল কোথায় গেল, তা জানতে এবার উদ্যোগী হয়েছে নাসা। তারজন্য সোমবারই লাল গ্রহের উদ্দেশে যাত্রা করল মহাকাশযান মাভেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করবে মাভেন। তারপর শুরু হবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা।
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল ও জলবায়ু পরীক্ষা করে জলের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেই জল কোথায় গেল, তা জানতে এবার উদ্যোগী হয়েছে নাসা। তারজন্য সোমবারই লাল গ্রহের উদ্দেশে যাত্রা করল মহাকাশযান মাভেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করবে মাভেন। তারপর শুরু হবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা।
নদী থেকে সাগর। একসময় সবই ছিল লাল গ্রহে। কিন্তু আজ সেসব উধাও। কিন্তু কিভাবে, সেটা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও একটা রহস্য।
মঙ্গলের বুক থেকে জলের অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ার জন্য সূর্যকেই দায়ী করেছেন নাসার এই বিজ্ঞানী। তাঁর মতে, প্রায় একশো কোটি বছর ধরে লাল গ্রহের প্রতিটি অণুকে শুষে নিচ্ছে সূর্যের উত্তাপ। তবে এটা শুধুই তাঁদের অনুমান। সত্যিটা জানতে সোমবার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা হল নাসার নবতম মঙ্গলযান মাভেন।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করবে নাসার মার্স অটমোসফিয়ার অ্যান্ড ভোলেটাইল ইভলিউশন মিশন বা মাভেন। তারপর লাল গ্রহের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে বাতাসে ভেসে থাকা বাষ্পের পরীক্ষা করবে মাভেন।
মাভেনের প্রধান বিজ্ঞানীর মতে বায়ুমণ্ডলের হারিয়ে যাওয়ার দুটো জায়গা রয়েছে। একটি হল মহাশূন্যে মিলিয়ে যাওয়া। অন্যটি হল মাটিতে মিশে যাওয়া। তবে এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল সম্ভবত মহাশূন্যে হারিয়ে গেছে। সেইসব রহস্য জানতেই এবার মাভেন অভিযান।
ব্রুস জেকস্কির দাবি, মাভেনের আরও একটি কাজ হল সূর্য এবং অন্যান্য মহাজাগতিক রশ্মির বিকিরণ মঙ্গলে কি প্রভাব ফেলে, সেটা পরীক্ষা করে দেখা। এর আগে কিউরিওসিটির পাঠানো তথ্য পরীক্ষা করে লাল গ্রহের মাটি ও পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। টের পেয়েছেন জলের অস্তিত্ব। কিন্তু মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল কিম্বা জলবায়ু সম্পর্কে তাঁদের হাতে বিশেষ তথ্য নেই বলেই দাবি নাসার বিজ্ঞানীদের। পৃথিবীর সঙ্গে মঙ্গলের কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিল আছে। এটা শুধু যে বিজ্ঞানীদের অনুমান, তা কিন্তু নয়। এর নেপথ্যে অল্প বিস্তর তথ্য প্রমাণও আছে। তবে সেবিষয়ে নিশ্চিত হতে এবার মাভেনের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করতে চান নাসার বিক্ষানীরা।
২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করার পর এক বছর ধরে কাজ করবে মাভেন। পরের ১০ বছর লাল গ্রহে থাকা কিউরিওসিটিকে সাহায্য করবে মাভেন। প্রসঙ্গত চলতি বছরের পাঁচই নভেম্বর লাল গ্রহের উদ্দেশে রওনা হয়েছে ভারতের মার্স অরবিটর মিশন। মঙ্গলের কক্ষপথে তার পৌঁছনোর তারিখ ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। মাভেনের ঠিক দু`দিন পরে। মনে করা হচ্ছে, দুই মহাকাশযানের একসঙ্গে অভিযানে লাল গ্রহ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।