National Nutrition Week: পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য একটি সপ্তাহ
এ দেশে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের একটি বড় অংশ অপুষ্টিজনিত সংকটে ভোগে। এর জেরে জাতীয় স্বাস্থ্যের মানও নীচে নেমে যায়। এটা যে সব সময় দারিদ্র্যের কারণেই ঘটে, তা কিন্তু নয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতে প্রতি বছর 'ন্যাশনাল নিউট্রিশন উইক' বা 'জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ' পালিত হয় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর। সেই হিসেবে আগামিকাল শুরু হতে চলেছে এই সপ্তাহ। ভারতের মতো একটি দেশ, যেখানে এখনও জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ অপুষ্টিতে ভোগে, সে দেশে এই রকম একটি সপ্তাহ পালনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এ দেশে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের একটি বড় অংশ অপুষ্টিজনিত সংকটে ভোগে। এর জেরে জাতীয় স্বাস্থ্যের মানও অনেক নীচে নেমে যায়। এটা যে সব সময় দারিদ্র্যের কারণেই ঘটে, তা কিন্তু নয়। যথাযথ খাদ্যাভ্যাস বা পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণের বিষয়ে ওয়াকিবহাল না থাকটাও এর একটা বড় কারণ। ফলে এ দেশে পুষ্টি নিয়ে জনসচেতনতা প্রচারের গুরুত্ব থাকেই। এই প্রেক্ষিতে এই পুষ্টি সপ্তাহের বিশেষ তাৎপর্য।
আরও পড়ুন: Bitter Gourd : কত কেরামতি করলার! খান, গুণ গান...
খুব স্বাভাবিক ভাবেই ভারতে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক এ বিষয়ে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে, এবারেও করছে। সাত দিন ধরেই নানা প্রোগ্রাম থাকে। এবং সে ক্ষেত্রে চলতি নানা পুরনো আপ্তবাক্য উল্লেখ করা হয়-- যেমন 'আ হেলদি মাইন্ড রিসাইডস ইন আ হেলদি বডি'' বা 'হেল্থ ইজ ওয়েল্থ'।
আমেরিকান ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশন ১৯৭৫ সালে প্রথম 'জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ' পালন করে। এর পিছনে মূলত দুটি কারণ ছিল। সে দেশে পেশাগত ভাবে যাঁরা পুষ্টিবিদ্যাকে গ্রহণ করেছেন তাঁদের কাজটা একটু সুবিধা করে দেওয়া। মানুষের মধ্যে তো সেই সময়ে পুষ্টিবিদ্যা নিয়ে কোনও ধারণা তৈরি হয়নি। এর পাশাপাশি আর একটি ব্যাপারও ছিল। ভালো এবং স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ বিষয়ে মানুষের মনে একটা সচেতনতা তৈরি করে দেওয়া। তবে পাঁচ বছর যেতে না যেতেই পরিস্থিতি অনেকটা বদলে যায়। ১৯৮০ সালে সপ্তাহ-ভর পালন করার ইভেন্টটি এক মাস ধরে পালিত হয়। তবে বিশেষ করে ভারতে এই সপ্তাহ পালিত হতে শুরু করে ১৯৮২ সালে। কেননা 'হেল্থি' এবং 'সাসটেনেইবেল' খাদ্যাভ্যাসের প্রতি ভারতীয়দের সচেতন করার সূচনা সেই সময় থেকেই।
প্রতি বছরই এই সপ্তাহের একটি থিম থাকে। এ বছরও আছে। কিন্তু সেটি এখনও ঘোষিত হয়নি। হয়তো আগামিকাল হবে। গত বছর এই সপ্তাহের থিম ছিল-- 'ফিডিং স্মার্ট রাইট ফ্রম দা স্টার্ট'।