জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীপাবলির ঠিক আগের দিনটি ভূত চতুর্দশী। ভূত চতুর্দশীর দিনটিতে মনে করা হয় আমাদের চারদিকে প্রচুর ভূত-প্রেত ঘুরে বেড়ায়। আর সে কারণেই নাকি এদিন সন্ধেবেলা ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালতে হয়। তবে ঘটনাটি ঠিক এরকম নয়। হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করা হয়, মৃত পূর্ব পুরুষরা এই আশ্বিন কৃষ্ণা চতুর্দশীর দিনে মর্ত্যে আসেন। তাঁদের আনন্দ দিতে এবং এই সব অতৃপ্ত আত্মার অভিশাপ দূর করতে এদিন তাঁদের জীবিত উত্তরপুরুষেরা সেই সব প্রেত-আত্মাদের পুজো করেন। জলদান করেন। তবে, এই শাস্ত্রবিহিত ঘটনা ছাড়াও রয়েছে এক পুরাণের ঘটনাও। সেটি দৈত্যরাজ বলির কাহিনী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Dhanteras: ধনতেরস উৎসবটি আসলে কী? জেনে নিন এর প্রকৃত কাহিনী...


দৈত্যরাজ বলি স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল দখল করেছেন। বলির অসুররা সবার উপর অত্যাচার শুরু করে। তখন বলিকে থামানোর জন্য ভগবান বিষ্ণু বামন অবতারে বলির কাছে এলেন। বলি তখন যজ্ঞ করছিলেন। ফলে, তিনি ওই বামনকে দান নিতে অনুরোধ করলেন। বিষ্ণুর বামন অবতার মাত্র তিন পা জমি চাইলেন। দৈত্যরাজ রাজি হলেন। বামন অবতার দুই পা স্বর্গ ও মর্ত্যে দিলেন। এরপর নাভি থেকে বের হওয়া তাঁর তৃতীয় পা'টি তিনি বলির মাথায় দিলেন। বলির ক্ষমতা খর্ব হল। কিন্তু বলির মাহাত্ম্য অন্য জায়গায়। ভগবান বিষ্ণুই যে বামন অবতারে এসেছেন এ কথা তাঁকে কেউ কেউ স্মরণ করিয়ে দিলেও বলি তাঁর কথা ফিরিয়ে নেননি। নিজের কাছে সৎ থাকায় বামন অবতার বলিকে বিষ্ণু প্রতি বছর পৃথিবীতে পূজা পাওয়ার আশীর্বাদ করলেন। এরপর থেকে কালীপূজার আগের রাতে রাজা বলি পাতাল থেকে পৃথিবীতে পূজা নিতে আসেন। তাঁর সঙ্গে আসে সহস্র ভূত, প্রেত, অশরীরী আত্মা।


আরও পড়ুন: Goddess Kali: করালবদনী এই কালীর উৎপত্তি কী ভাবে হল, জানেন? 


আরও একটি মত রয়েছে, চামুণ্ডা রূপে মা কালী এই ভূত চতুর্দশীর দিনে চৌদ্দজন ভূতকে সঙ্গে নিয়ে ভক্তের বাড়ি থেকে অশুভ শক্তিকে দূর করতে পৃথিবীতে আসেন। কিন্তু কালীর সঙ্গী-ভূত ভালো করবে না মন্দ করবে, তা মানুষ বুঝতে পারে না। তাই দিনটি নিয়ে একটা দ্বিধায় থাকে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)