ভাইফোঁটায় লুচির সঙ্গে জমিয়ে খান ডাল কিমা
লুচির সঙ্গে তো বটেই, দুপুরে বা রাতে খাওয়ার পাতে রুটি, পরোটা বা পোলাও-এর সঙ্গেও পরিবেশন করতে পারেন ডাল কিমা।
আজ বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা। আর বাঙালির উত্সব-পার্বণে ভুরিভোজ মাস্ট! সকাল থেকেই নানা মুখরোচক পদের আয়োজন হচ্ছে ভাইফোঁটা উপলক্ষে। সকালের বা বিকেলের জলখাবার থেকে দুপুরের ভরপেট খাওয়া-দাওয়া— সব কিছুরই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।
ভোজনরসিক বাঙালির পছন্দের তালিকায় মাছের পরেই রয়েছে পাঁঠার মাংসের নানা পদ। সত্যি বলতে কী, মটনের প্রতি অনেকেরই বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। ভাইফোঁটায় আজ পাতে থাক ডাল কিমা। লুচির সঙ্গে তো বটেই, দুপুরে বা রাতে খাওয়ার পাতে রুটি, পরোটা বা পোলাও-এর সঙ্গেও পরিবেশন করতে পারেন ডাল কিমা।
ডাল কিমা বানাতে লাগবে:—
১০০ গ্রাম ছোলার ডাল, ৩৫০ গ্রাম মাংসের কিমা, ৪ চামচ নারকেল কোরা, ৫-৬ কোয়া রসুন বাটা, ১ চামচ আদা বাটা, আধা কাপ পেঁয়াজ বাটা, ১ চামচ পোস্ত বাটা, ১ চামচ ধনে পাতা কুচি‚ ১ চা চামচ গোটা জিরে‚ ২টো শুকনো লঙ্কা তেল ছাড়া ভেজে গুঁড়ো করে নিতে হবে, আন্দাজ মতো নুন আর চিনি, ২ চামচ তেঁতুল গোলা, আধা কাপ মরটশুঁটি, ১ চামচ গরমমশলা।
ডাল কিমা বানানোর পদ্ধতি:—
প্রথমে কিমা সিদ্ধ করে নিয়ে জল ফেলে তুলে রাখুন।
এ বার ডাল এবং কিমা নুন দিয়ে একসঙ্গে সিদ্ধ করুন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, পেঁয়া-আদা-রসুন বাটা দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে নিন। মশলার রং একটু বাদামি হয়ে এলে আঁচ কমিয়ে এতে নারকেল এবং পোস্ত বাটা দিয়ে দিন। সঙ্গে যোগ করুন ভাজা মশলার গুঁড়ো। ভাল করে নেড়ে নিন মিশ্রণটি৷
আরও পড়ুন: জেনে নিন ভাইফোঁটার দিন, ক্ষণ, নির্ঘণ্ট
এ বার এই মিশ্রণে আন্দাজ মতো চিনি এবং তেঁতুল গোলা জল দিন। নুনের স্বাদ ঠিক হয়েছে কিনা দেখে নিন।
শেষে গরমমশলা যোগ করে আঁচ থেকে নামিয়ে রাখুন। গরম থাকতে থাকতেই এর মধ্যে মরটশুঁটি ছড়িয়ে দিন আর উপর থেকে ধনে পাতার কুচি।
লাঞ্চ বা ডিনারে রুটি, পরোটা বা পোলাও-এর সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু ডাল কিমা।