জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, কেতুর অশুভ গ্রাস থেকে বাঁচতে প্রধানত ক্যাটস আই ধারণ করা হয়। কেতুর শুভ প্রভাবে লটারী ফাটকা, জুয়া, শেয়ার বাজারের ব্যবসা ছাড়াও আকস্মিক ঝটকা অর্থ উপার্জনে সহায়তা করে। আর অশুভ রহস্যময়তা, স্বার্থপর, গুপ্তশুক্রর আক্রমন, উচ্চস্থান থেকে পতন, কলহ, যৌনরোগ, জলেডুবা, সর্পদংশন প্রভৃতির হাত থেকে বাঁচতে ক্যাটস আই ধারণ করা উচিৎ। তবে মাথায় রাখতে হবে, যে কোনও রত্নই তিন মাস পর থেকে ফল দেয়। উপরত্ন ফল দেয় ছয় মাস পরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্যাটস আই অন্ধকারে বিড়ালের চোখের মতো জ্বল জ্বল করে। তাই হয়তো এর নাম ক্যাটস আই। এটি দেখতে আকর্ষণীয় হয় এবং এর মধ্যে বড় উজ্জ্বল রেখা থাকে। ভারতের গুজরাত, রাজস্থান ও সংলগ্ন অঞ্চলেই মূলত ক্যাটস আই পাওয়া যায়। ভারতের বাইরে আরব, শ্রীলঙ্কা, আমেরিকা ও ব্রাজিলে এই রত্ন পাওয়া যায়। তবে গুণমানের বিচারে শ্রীলঙ্কার ক্যাটসআই সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়।


ক্যাটস আই সাধারণত সাদা, কালো, সবুজ, হলদেটে এবং শুকনো পাতার মতো রঙের হয়। আজকাল বাজারে যে রত্ন পাওয়া যায় তার রঙ ও ঔজ্জল্য দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। এই সব পাথর থেকে বর্ণচ্ছটার আভা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল এই রত্ন পাথরের ভিড়ে কী করে চিনবেন, কোনটা আসল আর কোনটা নকল? আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক খাঁটি ক্যাটস আই চেনার উপায়।


• ক্যাটসআই সাধারণত চার রকমের পাওয়া যায়:–


১) স্ফটিক: এটা অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং জমকালো হয়।


২) পাঁচ: এই প্রকার ক্যাটস আইতে কোনও প্রকার আঁচড় লাগলেই নষ্ট হয়ে যায়।


৩) শিশুপালী: এটা আকারে বড়।


৪) গীরিকাঁচ: এই প্রকার ক্যাটস আইতে কোনও রকম উজ্জ্বলতা থাকে না।


• সর্বশ্রেষ্ঠ এবং খাঁটি ক্যাটস আই চিনবেন কী করে, জেনে নিন:–


এই পাথর অনুমানের তুলনায় বেশি ভারী হয়।


উন্নত মানের ক্যাটস আইতে তিনটি রেখা যুক্ত ডোরা দাগ দেখতে পাওয়া যায়।


শ্রেষ্ঠ ক্যাটস আই মসৃণ, চকচকে আর হাতে নিলে পিছলে পড়ে যাওয়ার মতো পিচ্ছিল ভাব থাকে।


পাথরে চিড় ধরলে, বিন্দু বা কোনও রকম দাগ থাকলে সেই ক্যাটস আই নিম্নমানের হয়।


এ ছাড়াও, খাঁটি ক্যাটস আই ঘষলে তাতে উজ্জ্বলতা বাড়তেই থাকে কিন্তু নকলের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়।


অমশৃণ, কালো দাগযুক্ত এবং জলের রঙের ক্যাটস আই দোষপূর্ণ হয়।