নতুন বছরের কিছু সহজ সংকল্প

দেখতে দেখতে চলে এল ২০১৬ সাল। এক একজন এক একরকম ভাবে বরণ করে নিয়েছেন নতুন বছরকে। এছাড়া নতুন বছর আসলেই সকলের মনে যে চিন্তাটা সব থেকে বেশি আসে তা হল 'সংকল্প'। নতুন বছরে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু সংকল্প করে থাকেন। আবার অনেকেই নাম মাত্র সংকল্পও করে থাকেন। কারণ তিনি নিজেও জানেন এই সংকল্প বাস্তবে পালন করা তাঁর পক্ষে কখনওই সম্ভব নয়। তাই এতো ঝামেলা না করে শক্ত সংকল্পের কথা মাথায় না এনে বরং কিছু সহজ সংকল্পই করে নিন না। তাতে আখেরে লাভ কিন্তু আপনারই হবে।

Updated By: Jan 1, 2016, 05:53 PM IST
নতুন বছরের কিছু সহজ সংকল্প

ওয়েব ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এল ২০১৬ সাল। এক একজন এক একরকম ভাবে বরণ করে নিয়েছেন নতুন বছরকে। এছাড়া নতুন বছর আসলেই সকলের মনে যে চিন্তাটা সব থেকে বেশি আসে তা হল 'সংকল্প'। নতুন বছরে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু সংকল্প করে থাকেন। আবার অনেকেই নাম মাত্র সংকল্পও করে থাকেন। কারণ তিনি নিজেও জানেন এই সংকল্প বাস্তবে পালন করা তাঁর পক্ষে কখনওই সম্ভব নয়। তাই এতো ঝামেলা না করে শক্ত সংকল্পের কথা মাথায় না এনে বরং কিছু সহজ সংকল্পই করে নিন না। তাতে আখেরে লাভ কিন্তু আপনারই হবে।

তাহলে এবার এক ঝলকে দেখে নিন কিছু সহজ সংকল্প আর এগুলি পালন করে সুন্দরভাবে কাটান গোটা একটা বছর...

১. নিজের সঙ্গে সময় কাটান
আমাদের ব্যস্ত জীবনে বাড়ির লোক তো দূরের কথা নিজেকেই সময় দেওয়ার সময় থাকে আমাদের। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে অথবা ঘুম থেকে উঠে বিছানায় কিছুক্ষণ বসুন। নিজের নিঃশ্বাস নিজে অনুভব করুন। কিংবা যখন ফাঁকা সময় পাবেন তখন নিজের সঙ্গে সময় কাটান। নিজেকে বোঝার চেষ্টা করুন। এখন আমাদের নিজেকে বুঝতে গিয়ে অন্য কারোর মতামতের প্রয়োজন পড়ে। কারণ আমরা নিজেকেই ভালো ভাবে বুঝতে পারি না। তাই সময় কাটিয়ে নিজের ভাল লাগা খারাপ লাগা নিজে বুঝুন। দেখবেন জীবন অনেক স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

২. জল খান
বেশি করে জল খাওয়ার সংকল্প করুন। জল না খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রোগের সূত্রপাত হয়ে থাকে। জল না খাওয়ার ফলে রোগের মাত্রাও দিন দিন বাড়তে থাকছে। তাই বেশি করে সময় মতো জল খাওয়ার অভ্যেস করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে বা খাবার খাওয়ার আগে জল খান। যদি রোগা হতে চান তাহলেও জল আপনার জন্য আদর্শ হবে। কারণ আমাদের শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন জলের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যায়। তাই অনায়াসেই রোগাও হবেন আপনি।

৩. হাঁটার অভ্যেস করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি হাঁটার সময় না পান তাহলে ধরুন বাড়ির কাছাকাছি কোনও দোকানে যাবেন সেখানে বাইকে না গিয়ে হেঁটেই চলে যান। এছাড়া অফিস অথবা কলেজে যাওয়ার সময় হাতে কিছু সময় নিয়ে বেরন। যদি আপনার বাড়ি রাস্তা অথবা স্টেশন থেকে একটু দূরে হয় তাহলে সেখানে হেঁটেই চলে যান। রিক্সা অথবা অটো ধরার দরকার পরবে না। হাঁটার ফলে হার্ট ভালো থাকবে।

৪. কম পাত্তা দিন
আমাদের চারিপাশে প্রচুর অবাঞ্ছিত মানুষ ঘোরা ঘুরি করেন। কিন্তু তাঁরা অবাঞ্ছিত জানার পরেও আমরা তাঁদেরকে আমাদের জীবন থেকে কিছুতেই বের করে দিতে পারি না। তাই নতুন বছরে সবার আগে এই মানুষগুলিকে কম দেওয়ার সংকল্প করুন। এদের পাত্তা দিয়ে সব থেকে বেশি মন খারাপ হবে আপনার। তাই এদের এড়িয়ে চলুন দেখবেন নতুন বছরে নতুন ভাবে চিন্তা ভাবনা করতে পারবেন।

৫. পরিবারকে গুরুত্ব দিন
দিনের বেশিরভাগ সময় চলে যায় ফেসবুকের স্টেটাস দিতে এবং তার কমেন্ট দেখতে গিয়ে। তাই ফেসবুক কিংবা হোয়াটস অ্যাপের সঙ্গে বেশি সময় না কাটিয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের সময় দিন। তাদের গুরুত্ব দিন। আপনার খারাপ সময় ফেসবুক অথবা হোয়াটস অ্যাপ আপনাকে সাহায্য করবে না, আপনার পরিবারই সাহায্য করবে আপনাকে।

আর বাকি সংকল্প? সে তো আপনার প্রচেষ্টাতেই চলে আসবে। আপনি যখন নিজেকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করবেন তখনই দেখবেন আপনার নিজের শরীরের দিকে নজর দিতে, কেরিয়ারে ফোকাস করতে, অযথা টাকা নষ্ট না করে জমাতে এবং খুব বেশি নেশা না করে ভালো থাকার কথা মাথায় আসবে। তাই নতুন বছরে শক্ত সংকল্প না করে সহজ এবং বাস্তবাদী সংকল্প করে গোটা একটা বছর সুস্থ স্বাভাবিকভাবে কাটানোর জন্য প্রস্তুতি নিন...

 

.