নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় সোমবার আনিক সইদ এবং ইসমাইল চৌধুরিকে প্রাণদণ্ড দিল আদালত। এছাড়া, তৃতীয় দোষী তারিক আনজুমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ ন্যাশালান ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি আদালত। এই মামলায় ৪ সেপ্টেম্বরই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল আনিক সইদ (৩৬) এবং মহঃ আকবর ইসমাইল চৌধুরি (৩৫)। আর এই দুই ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শাস্তি পেয়েছে তারিক আনজুম। এই মামলায় প্রত্যক্ষভাবে অভিযুক্ত রিয়াজ ভাটকল, ইকবাল ভাটকল এবং আমির রেজা খান এখনও ফেরার। তবে প্রমাণাভাবে মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছে ফারুক সারফুদ্দিন তারকাশ এবং মহম্মদ সাদিক ইসরার শাইক। কিন্তু, হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলা থেকে মুক্তি মিললেও, মহারাষ্ট্রের অন্যান্য মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় এই দুই ব্যক্তিকে আপাতত জেলেই থাকতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দোষী সাব্যস্তদের একজনের আইনজীবী গনদাম গুরুমূর্তি এদিন রায় ঘোষণার পর সংবা্দ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, "এই রায় খুবই দুর্বল। আমরা হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে আবেদন করব"।


২০০৭ সালের ২৫ অগস্ট। হায়দরাবাদের গোকুল ছাট রেস্তোরাঁ হঠাত্ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ৩২ জন, আহত হন প্রায় ২০ ব্যক্তি। গোকুল ছাটের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই হায়দরাবাদেরই লুম্বিনি পার্ক এলাকায় একটি মুক্ত মঞ্চে ঘটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি। সেখানে প্রাণ হারান ১২ জন এবং আহতের সংখ্যা ২১। সেই ঘটনার তদন্তে নামে তেলেঙ্গানা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ (কাউন্টার ইন্টালিজেন্স)। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে তারা এবং মোট চারটি চার্জশিট তৈরি করা হয়। পুলিসের চার্জশিটে এই ৫ জনের নামের পাশাপাশি রিয়াজ ভাটকল ও ইকবাল ভাটকল নামের দুই পলাতক অভিযুক্তেরও উল্লেখ রয়েছে। ২০০৭ সালের ওই বিস্ফোরণের পরদিন মোট ১৯টি ফেটে যাওয়া বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিস। তাদের সন্দেহ, আনিক সাফিক সঈদ, রিয়াজ ভাটকল এবং ইসমাইল চৌধুরিই এই বোমাগুলি পুঁতে রেখেছিল। এরপরই তথ্যপ্রমাণ সহযোগে আদালতে শুরু হয় শুনানি। এদিন বিশেষ ন্যাশালান ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি আদালত সেই মামলার রায় ঘোষণা করল। আরও পড়ুন- বনধের জেরে অ্যাম্বুলেন্সেই প্রাণ হারাল শিশু, রাহুলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি