নিজস্ব প্রতিবেদন: দিনটা ছিল ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই। এক এক করে মাত্র ৭০ মিনিটে ২২টি বোমা বিস্ফোরণ (Ahmedabad Blast)। কেঁপে উঠল গোটা আহমেদাবাদ শহর। মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ২০০০-এর বেশি মানুষ। মৃত্যু হয় ৫৬ জনের। দেশজুড়ে শিউরে ওঠার মত এই ঘটনায় পুলিস তদন্তে নেমে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের(Indian Mujahideen) যোগ পায়। ৭৮ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার(UAPA) মামলা রুজু করা হয়। তাদের মধ্যে ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এদিন তাদের মধ্যেই ৩৮ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। বাকি ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশও দেওয়া হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুনরাজধানীতে বোমাতঙ্ক, দিল্লির দুই এলাকায় উদ্ধার বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ


প্রসঙ্গত, এই প্রথম ভারতে একটি মামলায় একসঙ্গে এতজনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হল। ২০০৮ সালের সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় যেভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, এবার আদালতের সাজা ঘোষণার পরই স্বস্তি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মধ্যে। 


আরও পড়ুনHijab Row: সংখ্যালঘুদের শিক্ষাকেন্দ্রে হিজাব-গেরুয়া শাল পরা যাবে না, নির্দেশ কর্নাটক আদালতের


২০০৮ সালের ২৬ জুলাই প্রতিদিনের ব্যস্ততার মতই সচল ছিল গুজরাতের আহমেদাবাদ শহর। হঠাই একটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বাসিন্দাদের কিছু বুঝে ওঠার আগেই, ফের বিস্ফোরণের শব্দ। ছিটকে পড়েছিল একের পর এক দেহ। বাড়তে থাকে আহতের সংখ্যা। পরপর দুটি বিস্ফোরণের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই, সেদিন ৭০ মিনিটের মধ্যে শহরজুড়ে নাশকতার আরও ২০টি ঘটনা ঘটে যায়। 


ঘটনার পর ১৩ বছর ধরে মামলা চলে। অবশেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত ৪৯ জনকে এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে। আজ তাদের মধ্যে ৩৮ জনকে ফাঁসির নির্দেশ এবং বাকি ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। 


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App